ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতরানের পথে তিলক বর্মা। ছবি: টুইটার
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পারেননি। অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আর সুযোগ ফস্কাননি। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যেও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন তিলক বর্মা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরান। কীর্তির পরে একটি বিশেষ কায়দায় উল্লাস করতে দেখা যায় তাঁকে। কার জন্য সেই কায়দায় তিনি উল্লাস করেছেন তা ম্যাচ শেষে জানান তিলক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতরান করে তিলককে দেখা যায়, দু’হাতে ঘুষি মারার কায়দায় উল্লাস করছেন। পরে সেই বিষয়ে তিলক বলেন, ‘‘ওটা সামাইরার জন্য ছিল। রোহিত ভাইয়ের মেয়ে। আমাদের খুব মিল। মুম্বইয়ের হয়ে খেলা চলাকালীন অনেকটা সময় আমরা একসঙ্গে কাটাই। আমরা এ ভাবেই মজা করি। তাই আমি ওকে বলেছিলাম যখনই অর্ধশতরান বা শতরান করব, এ ভাবেই মজা করব। তাই করেছি।’’ এই সিরিজ়ে খেলছেন না অধিনায়ক রোহিত। কিন্তু তাঁর উপর রোহিতের কতটা প্রভাব রয়েছে সে কথা জানিয়েছেন তিলক। তিনি বলেন, ‘‘রোহিত ভাইয়ের সঙ্গে আমার প্রায়ই কথা হয়। কী ভাবে আরও ভাল খেলব সেই পরামর্শ ওর কাছে থেকে নিই।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলায় জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন তিলক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিলক বলেন, ‘‘দলীপ খেলতে খেলতে খবর পাই যে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছি। প্রথমেই বাড়িতে ফোন করি। কিন্তু কথা বলতে পারিনি। বাবা-মা কান্নাকাটি করছিল। আমি বেশি ক্ষণ নিজেকে আটকে রাখতে পারতাম না। তাই ফোন কেটে দিই। তার পরে কোচকে ফোন করেছিলাম। কোচও কাঁদছিলেন। সবার মনের অবস্থা একই রকম ছিল।’’
গত বছর মুম্বইয়ের হয়ে তাঁর পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল। দলের বাকি ব্যাটারেরা ব্যর্থ হলেও ধারাবাহিক ভাবে রান করেছিলেন তিলক। তখন থেকেই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগের দাবিদার ছিলেন তিনি। তিলক কি নিজেও সেটা বুঝতে পেরেছিলেন? এই প্রশ্নের জবাব বাঁ হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘‘আমার কাজ ভাল খেলা। বাকিটা আপনা থেকেই হয়ে যাবে। প্রথম মরসুম হলেও আমি কখনও চাপ নিয়ে খেলিনি। প্রথম থেকেই মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিয়েছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি। নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি। সেই বিশ্বাসের দাম পেয়েছি।’’
যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে তিলকের অর্ধশতরানের পরেও ম্যাচ জিততে পারেনি ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে ভারত। তিলক ছাড়া বাকিরা তেমন রান করতে পারেননি। নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। তারই খেসারত দিতে হয় দলকে। রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দাপটে একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের উপর চাপ তৈরি হলেও ম্যাচ বার করে নেয় তারা। সাত বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়।
এই প্রথম বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে পর পর দু’টি টি-টোয়েন্টি হারল আইসিসি ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থাকা দল ভারত। মঙ্গলবার সিরিজ়ের তৃতীয় ম্যাচ। সিরিজ়ে টিকে থাকতে হলে সেই ম্যাচে জিততেই হবে হার্দিক পাণ্ড্যদের। নইলে সিরিজ়ের পাশাপাশি এক নম্বর আসনও খোয়াতে হবে ভারতকে।