মহম্মদ সিরাজ এবং রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
ভারতীয় দলের অভিযোগ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হচ্ছে খারাপ পিচে। তৃতীয় দিনের শেষে ২৯৬ রান পিছিয়ে যাওয়ার পরে ভারতীয় দল পিচ নিয়ে মুখ খুলল। ওভালের পিচ নাকি এখন আর আগের মতো নেই। এমনটাই বললেন এই মাঠে তিনটি অর্ধশতরান করা শার্দূল ঠাকুর।
প্রথম ইনিংসে ৪৬৯ রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ভোগায় রোহিত শর্মাদের। অজিঙ্ক রাহানে, শার্দূল ঠাকুররা ব্যাট হাতে ভরসা না দিলে আরও বড় রানে লিড পেতে পারত অস্ট্রেলিয়া। শার্দূল বলেন, “এ বারের পিচটা আলাদা। গত বার যখন এই পিচে খেলেছিলাম আমরা জানতাম আকাশে মেঘ থাকলে বল নড়াচড়া করবে। সে বার খেলা যত এগিয়েছিল, ততই ব্যাটিং সহায়ক পিচ হয়ে গিয়েছিল। এ বার সেটা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার বল ওঠানামা করেছে।”
শার্দূল যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন ভারত ১৫২ রানে ছ’উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেন, “পিচ অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। অদ্ভুত জায়গা থেকে বল বাউন্স করছিল। হাতে রান ছিল না বেশি, ছ’উইকেট পড়ে গিয়েছিল। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। খুব বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতাও নেই আমার। নিজেকে বলেছিলাম, এটাই টেস্ট ক্রিকেট, এখানে এমনই হয়।” অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা এমন লেংথে বল করছিলেন যে, ভারতীয় ব্যাটাররা খেলতে বাধ্য হন। কিন্তু শার্দূল মনে করেন, পিচের একটি বিশেষ জায়গা থেকেই বল অদ্ভুত ভাবে বাউন্স করছিল। তিনি বলেন, “একটা জায়গায় বল পড়লে, বেশি বাউন্স করছে। পিচে ঘাসও রয়েছে। এমন লেংথে বল আসছে যে, ব্যাটার ছাড়তেও পারছে না, আবার খেললেও বিপদ। এমন অবস্থায় খেলতেই হচ্ছে। এই পিচে আমি বলব শর্ট লেংথে বল করাটাই ঠিক।”
ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে যদিও অনায়াসে রান তুলেছেন ট্রেভিস হেড, স্টিভ স্মিথরা। অস্ট্রেলিয়া এখনও ২৯৬ রানে এগিয়ে। হাতে রয়েছে ছ’উইকেট। শার্দূল যদিও মনে করেন ভারত এখনও এই ম্যাচ জিততে পারে। তিনি বলেন, “ক্রিকেট খুবই মজার খেলা। কোনও রানই জেতার রান বলা যায় না। আইসিসি ফাইনালে তো বলাই যায় না। একটা ভাল জুটি অনায়াসে ৪৫০ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। গত বছর ইংল্যান্ড ৪০০ রান তাড়া করে জিতেছে।”