Nitish Reddy

শতরান করে ‘বাহুবলী’! মেলবোর্নে কেন ওই কায়দায় উল্লাস? কারণ জানালেন নীতীশ

মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করে এক বিশেষ কায়দায় উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে নীতীশ রেড্ডিকে। কেন ওই কায়দায় তিনি উল্লাস করেছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নীতীশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:১২
Share:

শতরানের পর এই কায়দাতেই উল্লাস করেন নীতীশ রেড্ডি (বাঁ দিকে)। পাশে দাঁড়িয়ে মহম্মদ সিরাজ। ছবি: রয়টার্স।

মেলবোর্নে শুধু নীতীশ রেড্ডির ব্যাটিং নয়, শতরানের পর তাঁর উল্লাসের ধরনও সকলের নজর কেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শতরান করে এক বিশেষ কায়দায় উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে নীতীশকে। কেন ওই কায়দায় তিনি উল্লাস করেছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নীতীশ।

Advertisement

স্কট বোলান্ডের বল মিড অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারিতে যাওয়ার পরেই দেখা যায়, মাঠে হাঁটু মুড়ে বসেছেন নীতীশ। তার পর হাতের ব্যাটটি সামনে মাটিতে লম্বালম্বি ধরেন তিনি। ব্যাটের উপর রাখেন হেলমেট। ডান হাত দিয়ে ব্যাট ধরে বাঁ হাত আকাশের দিকে তোলেন নীতীশ। চোখ বন্ধ করেন। অনেকটা ‘বাহুবলী’ ছবিতে এই ভাবেই বসতে দেখা গিয়েছিল প্রধান চরিত্রকে। সেই কারণে সমাজমাধ্যমে নীতীশের এই উল্লাসকে অনেকেই বাহুবলীর সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেন।

পরে নীতীশ জানান, তিনি ভারতের জাতীয় পতাকাকে সেলাম করছিলেন। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “শতরান করার পর আমি ব্যাট মাটিতে পোঁতার মতো করে ধরেছিলাম। তার উপর হেলমেট রেখেছিলাম। অর্থাৎ, ওটা জাতীয় পতাকা। তার পর পতাকাকে সেলাম করেছি। দেশের হয়ে খেলার থেকে বড় কৃতিত্ব কিছু নেই। তাই ও ভাবে উল্লাস করেছি। এই শতরান আমার সারা জীবন মনে থাকবে।”

Advertisement

নীতীশের খেলা দেখতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন তাঁর পিতা মুতিয়ালা রেড্ডি। পুত্রকে খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন তিনি। নিজের সরকারি চাকরি ছেড়েছেন। সারা ক্ষণ পুত্রের সঙ্গে থেকেছেন। তাই নীতীশের শতরানের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কেঁদেছেন। পিতার সেই কান্না দেখেছেন নীতীশও। তিনি বলেন, “আমি দেখছিলাম বাবা কাঁদছে। আমি বাবাকে গর্বিত করার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।”

অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়াও হতে পারত নীতীশের। তাঁর যখন ৯৯ রান, তখন ৯ উইকেট পড়ে যায় ভারতের। সেই সময় মহম্মদ সিরাজ প্যাট কামিন্সের তিনটি বল খেলেন। সিরাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন নীতীশ। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “সিরাজের মানসিকতা সকলেই জানে। ও বলল, চিন্তা নেই, আমি আছি। তাতে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ে। ওকে অনেক ধন্যবাদ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement