হনুমা বিহারী। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হনুমা বিহারীকে নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। কিছু দিন আগেই সমাজমাধ্যমে সতীর্থদের সই করা একটি চিঠি পোস্ট করেছিলেন তিনি। দেখাতে চেয়েছিলেন, কত জন সতীর্থ তাঁর পাশে রয়েছেন। এ বার কয়েক জন সতীর্থ অভিযোগ করেছেন, জোর করে হুমকি দিয়ে তাঁদের সই আদায় করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন অন্ধ্র রাজ্য সংস্থাকে। এ দিকে, বিহারী ফের দাবি করেছেন তাঁকে জোর করে নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে।
গত সোমবার ১৫ জন সতীর্থের সই করা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এনে বিহারী দাবি করেন, তাঁর পাশে প্রায় গোটা দলই রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সংস্থাকে অন্ধ্রের ক্রিকেটারেরা জানিয়েছেন, তাঁদের জোর করে সই করানো হয়েছে। কয়েক জন ক্রিকেটারের অভিভাবক রাজ্য সংস্থাকে জানিয়েছেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। একটি ম্যাচ খেলিয়েই বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁদের প্রতিভা দাম পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর মধ্যেই পুরনো কিছু চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ চলাকালীন দলের ম্যানেজার রাজ্য সংস্থাকে একটি ইমেলে জানিয়েছিলেন, কী ভাবে নেতিবাচক মানসিকতা দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের মধ্যে ‘গ্রুপ’ তৈরি হয়েছে এবং ‘পার্টি কালচার’ প্রভাব ফেলেছে। অর্থাৎ কয়েক জন ক্রিকেটার যেমন নিজেদের মতো ‘দল’ তৈরি করেছেন, তেমনই কেউ কেউ মেতে রয়েছেন পার্টি করা নিয়ে। আর একটি ইমেলে জেনারেল ম্যানেজার অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন বিহারী। তাঁকে গালিগালাজ করেছেন। ভারতীয় দলে ডাক না পাওয়ার কারণে গত বছরই অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বিহারী। পরে ক্ষমা চেয়ে অন্ধ্রের হয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন। সেই ইমেলও প্রকাশ্যে এসেছে।
এ দিকে, একটি সাক্ষাৎকারে বিহারী জানিয়েছেন, দলের কথা ভেবেই গত দু’মাস তিনি চুপ ছিলেন। রঞ্জি থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, সত্যিটা প্রকাশ্যে আসুক। আর তিনি কোনও ভাবেই অন্ধ্রের হয়ে খেলতে চান না।