রবিচন্দ্রন অশ্বিন। — ফাইল চিত্র
মেঘলা আকাশ দেখে বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে চার পেসার খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু প্রথম দিনেই বোঝা গিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত ভুল। কারণ উমেশ যাদব বা শার্দূল ঠাকুরের মতো জোরে বোলাররা কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেননি। প্রথম একাদশে অশ্বিনকে না রাখা নিয়ে সোচ্চার প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। তবে দিনের খেলা শেষে ভারতের বোলিং কোচ পরশ মামব্রে কোনও মতে অশ্বিন-প্রসঙ্গ ধামাচাপা দিতে চাইলেন।
মামব্রে অজুহাত দিলেন মেঘলা আকাশকেই। বললেন, “অশ্বিনের মতো চ্যাম্পিয়ন বোলারকে মাঠের বাইরে রাখা খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু সকালের আবহাওয়া দেখে ভেবেছিলাম একজন বাড়তি পেসার রাখলে কাজে দেবে। অতীতেও এই সিদ্ধান্ত কাজে দিয়েছে। পেসাররা ভালই বল করেছে। আপনারা বলতেই পারেন যে একজন অতিরিক্ত স্পিনার খেলালে ভাল হত। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই।”
সকালের আবহাওয়া মেঘলা থাকার সুবিধা নিয়ে দ্রুত উসমান খোয়াজা, মার্নাস লাবুশেন এবং ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছিল ভারত। কিন্তু রোদ উঠতেই পরিস্থিতি ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে। দাপট দেখাতে থাকেন স্টিভ স্মিথ এবং ট্রেভিস হেড। দ্বিতীয় জন শতরান করে ফেলেছেন। প্রথম জনের দরকার আর পাঁচ রান।
ভারতের বোলারদের মধ্যে যে কোনও শৃঙ্খলা ছিল না সেটা স্বীকার করেছেন মামব্রে। বলেছেন, “নিয়ন্ত্রিত বল করার দরকার ছিল আমাদের। ১২-১৩ ওভারের পর থেকে শৃঙ্খলাটাই হারিয়ে যায়। যা আশা করেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি রান আমরা হজম করেছি।” মামব্রের মতে, শর্ট বলের কৌশল নেওয়া উচিত ছিল পেসারদের, যা তাঁরা করেননি।
প্রথম একাদশে কার্যত নিশ্চিত থাকা একজন বোলারকে বাদ দিয়েছে ভারত। সেই বার্তা অশ্বিনকে দেওয়া কতটা কঠিন ছিল? মামব্রের কথায়, “এই ধরনের আলোচনা এক দিন নয়, বেশ কয়েক দিন ধরে চলে। এখানে আমরা ম্যাচের আগে তিন-চার দিন অনুশীলন করেছি। উইকেট দেখেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওরাও দলের কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বোঝে।”