মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
এ বারের বিশ্বকাপে মহম্মদ শামি খেলেছেন ছ’টি ম্যাচ। নিয়েছেন ২৩টি উইকেট। তিন বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ফর্ম বিপক্ষের ব্যাটারদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এমন পেসারের এ বারের বিশ্বকাপটাই খেলা হত না হার্দিক পাণ্ড্য চোট না পেলে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর।
প্রবাদ আছে, ‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ।’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক নিজের ওভারেই বল আটকাতে গিয়ে পড়ে যান। তাঁর শরীরের পুরো ওজন গিয়ে পড়ে পায়ের উপর। সেই ম্যাচে আর বল করতে পারেননি হার্দিক। পরে পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান। প্রথম একাদশে জায়গা করে নেন শামি। প্রথম ম্যাচেই নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেন বাংলার পেসার। এর পর যত ম্যাচ গিয়েছে, তত জায়গা পাকা হয়েছে শামির। কিন্তু রাঠৌর বলেন, “আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে দল সাজাচ্ছিলাম তাতে শামির জায়গা হচ্ছিল না। খুব কঠিন ছিল ওকে দলে নেওয়া। হার্দিক চোট পাওয়াতে সেই সুযোগ আসে।”
শামি এ বারের বিশ্বকাপে শুধু নেদারল্যান্ডস ম্যাচে উইকেট পাননি। তার আগে চারটি ম্যাচে খেলেননি। এমন অবস্থাতেও সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে তিনি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ১০টি ম্যাচ খেলে ২২ উইকেট নিয়েছেন। শামি সেখানে খেলেছেন ছ’টি ম্যাচ। রাঠৌর বলেন, “শামি খুবই স্পেশ্যাল বোলার। খুব ভাল বল করছে ও। দলের ম্যানেজমেন্টকেও কৃতিত্ব দিতে হবে এর জন্য। নিয়মিত না খেললেও শামিকে তৈরি রেখেছিল তারা। মানসিক ভাবে শামিকে প্রস্তুত রেখেছিল তারা। এখনও আমাদের দলের সেরা স্পিনার (রবিচন্দ্রন অশ্বিন) প্রথম একাদশের বাইরে রয়েছে।”
দলের বোলারদের অনুশীলনে ব্যাট করানো হচ্ছে। রাঠৌর বলেন, “হার্দিক চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় আমাদের এক জন ব্যাটার কম হয়ে যায়। আমি তাই শেষ দিকে ব্যাট করতে নামা বোলারদের নিয়ে আলাদা করে অনুশীলন করি। ব্যাটিং অনুশীলন করানো হচ্ছে তাদের।”