Tilak Varma

অপরাজিত ৩১৮ রান! দুর্বলতাকে শক্তি বানিয়ে সফল তিলক, খোলসা করলেন ব্যাটার নিজেই

টি-টোয়েন্টিতে শেষ চারটি ম্যাচে ৩১৮ রান করেছেন তিলক বর্মা। তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, তা খোলসা করলেন তিলকই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৮
Share:

চেন্নাইয়ে ইনিংস শেষে তিলক বর্মা। ছবি: রয়টার্স।

আউট করা যাচ্ছে না তিলক বর্মাকে। টি-টোয়েন্টিতে শেষ চারটি ম্যাচে ৩১৮ রান করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি শতরান। এক বারও আউট হননি। চেন্নাইয়েও ম্যাচ জেতানো ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিলক। তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে, তা খোলসা করলেন তিনিই।

Advertisement

তিলক জানিয়েছেন, আগে শর্ট বল খেলতে সমস্যা হত তাঁর। তাই পেসারেরা তাঁর বিরুদ্ধে শর্ট বল বেশি করতেন। সেই সমস্যাকেই নিজের শক্তি বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। তিলক বলেন, “আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠত। গত বছর আইপিএলে দেখেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে পেসারেরা বেশি শর্ট বল করত। তাতে আমার সমস্যা হত। সেটা নিয়েই কাজ শুরু করি। আমি জানতাম, যদি শর্ট বল খেলতে পারি, তা হলে বোলার সমস্যায় পড়বে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তার ফল এ বার পাচ্ছি।”

চেন্নাইয়ে দেখা গিয়েছে, শর্ট বলের বিরুদ্ধে তিনি কতটা সাবলীল ভাবে খেলেছেন। বলের গতি ব্যবহার করেছেন তিনি। তিলক জানতেন, ইংল্যান্ডের পেসারেরা গতি দিয়ে তাঁদের চাপে রাখার চেষ্টা করবেন। সেই গতির মোকাবিলা করার জন্য নিজেকে তৈরি রেখেছিলেন তিলক। তিনি চেয়েছিলেন সেরা বোলারকে নিশানা করতে। তা হলে বাকিরাও চাপে পড়বেন। সেটাই হয়েছে। জোফ্রা আর্চারকে চারটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তিলক বলেন, “আমি ওদের সেরা বোলারকে নিশানা করেছিলাম। যদি আপনি সেরাকে চাপে ফেলে দেন, তা হলে বাকিরাও চাপে পড়ে। তাই অপর প্রান্তে যখন উইকেট পড়ছিল, তখন আমি ওদের সেরা বোলারকে নিশানা করেছিলাম।”

Advertisement

আর্চারের বিরুদ্ধে উইকেটের পিছনে একের পর এক বড় শট খেলেছেন তিলক। অর্থাৎ, আর্চারের গতি ব্যবহার করেছেন তিনি। এই সব শটের প্রস্তুতি তিনি সেরে রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিলক। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “আমি বাকিদের জন্য কাজটা সহজ করে দিতে চেয়েছিলাম। তাই নিজের উপর ভরসা রেখে সুযোগ নিয়েছিলাম। আর্চারের বিরুদ্ধে যে সব শট খেলেছি তার প্রস্তুতি নেটে সেরেছি। মানসিক ভাবে আমি তৈরি ছিলাম। তাই কাজটা সহজ হয়েছে।”

অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিলক। তিনি মানসিক ভাবে তৈরি ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত খেলবেন। তিলক বলেন, “আমি নিজেকে বলেছিলাম, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকব। ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছি। গম্ভীর স্যরের সঙ্গে গত ম্যাচে আমার কথা হয়েছিল। ওকে বলেছিলাম, দলের চাহিদা অনুযায়ী আমি খেলতে পারি। দরকারে ওভারে ৬,৭ রান নিতে পারি। আবার দরকারে ১০,১২ রানও নিতে পারি। গম্ভীর স্যর এই ম্যাচে আমাকে সেটাই করে দেখাতে বলল। সেটা মাথায় রেখেই খেলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement