শুভমন গিল। —ফাইল চিত্র।
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ১০২ রানের ইনিংস খেলার পর হালকা লাগছে শুভমন গিলের। ভারতীয় দলের তরুণ ব্যাটার স্বীকার করে নিয়েছেন, লাল বলের ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল। পঞ্জাবের হয়ে শতরান করার পর বুঝতে পেরেছেন, কেন ভাল খেলতে পারছিলেন না।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে হতাশাজনক ফলাফলের পর ভারতীয় দলের ব্যাটারদের নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। একসঙ্গে সব ব্যাটারের ফর্ম হারানোয় উদ্বিগ্ন কোচ গৌতম গম্ভীর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সকলকে। সেই মতো রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, রবীন্দ্র জাডেজা, ঋষভ পন্থের মতো শুভমনও রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। কর্নাটকের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে রান না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে শতরানের ইনিংস।
রান পেয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভমন বলেছেন, ‘‘লাল বলের বিরুদ্ধে আমার ব্যাটিং ভাল হচ্ছিল না। উদ্বেগের হয়ে যাচ্ছিল। অনেক সময়ই ২৫-৩০ রান ভাল ভাবে করলেও বড় রান করতে পারছিলাম না। ভাল শুরু করার পর একটু বেশি চাপ নিয়ে ফেলছিলাম। বড় রান করতে হবে, এই ভাবনাটা চলে আসছিল। সেটাই চাপ তৈরি করছিল আমার উপর।’’ শুভমন আরও বলেছেন, ‘‘একটা অন্য রকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। মানসিক চাপ পড়ছিল। চাপের জন্যই ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারছিলাম না। পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। এ বার বড় রান করতে হবে। এই জাতীয় ভাবনাই সমস্যা করছিল।’’
কর্নাটকের বিরুদ্ধে বড় রান করতে হবে, এমন চাপ নেননি নিজের উপর। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলে সাফল্য পেয়েছেন। শুভমন বলেছেন, ‘‘এই ইনিংসটা আমাকে বেশ স্বস্তি দিচ্ছে। যে ভাবে খেলেছি, তাতে আমি খুশি। প্রথম ১৩০ বলে ৪০ রানের মতো করেছিলাম। কর্নাটক বেশ ভাল বল করছিল। পিচ থেকেও সাহায্য পাচ্ছিল বোলারেরা। সব কিছু মিলিয়ে এই ইনিংসটা খেলে ভাল লাগছে।’’ চাপমুক্ত হয়ে কী ভাবে বড় রান করলেন? শুভমন বলেছেন, ‘‘মধ্যাহ্নভোজের পর নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করেছি। শট খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। উইকেটের অন্য প্রান্তে উইকেট পড়লেও মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেছি। উইকেটে থাকার চেষ্টা করেছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘যে কোনও স্তরের ক্রিকেটেই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। অনুশীলন ছাড়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়। পরের সিরিজ়ের আগে অনেক সময় রয়েছে। তাই এই ম্যাচটা খেলার কথা ভেবেছিলাম। ম্যাচটা আমাকে সাহায্যই করল।’’
এর পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনেক সিরিজ় খেলবেন শুভমন। তার পর রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এই দুই প্রতিযোগিতাতেই ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক তিনি।