ভারতের মহিলা ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এক্স।
মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল ভারত। নবম বার ফাইনালে উঠল তারা। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রত্যেক বার ফাইনাল খেলেছে ভারতের মহিলা দল। সেই ধারা বজায় রাখলেন হরমনপ্রীত কৌরেরা। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল ভারত। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রান করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মা মাত্র ১১ ওভারে সেই রান তাড়া করেন। অপর সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের জয়ী দলের বিরুদ্ধে রবিবার ফাইনাল খেলবে ভারত।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। টস জেতা ছাড়া আর কিছুই ভাল হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হন দিলারা আকতার। নতুন বলে নজর কাড়লেন রেণুকা সিংহ। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৩ উইকেট নেন তিনি। দিলারার পরে ইশিমা তানজিম ও মুর্শিদা খাতুনকেও ফেরান তিনি। রেণুকার সুইং বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটারেরা।
অধিনায়ক নিগার এক দিকে টিকে থাকলেও অন্য দিকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। রুমানা আহমেদ, রাবেয়া খান, রিতু মণিরাও রান পাননি। পেস হাতে রেণুকার পরে স্পিন হাতে নজর কাড়লেন রাধা যাদব। ৪৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। দেখে মনে হচ্ছিল, অল আউট হয়ে যাবে তারা। দলকে কোনও রকমে টেনে নিয়ে যান নিগার। ৫১ বলে ৩২ রান করেন তিনি। শর্না আখতার করেম ১৯ রান। ২০তম ওভারে ২ উইকেট নেন রাধা। মেডেন দেন তিনি। রেণুকা ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও রাধা ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
৮১ রানের লক্ষ্য যে ভারতের কাছে খুব একটা কঠিন হবে না তা জানা ছিল। সেটাই হল। ভারতের দুই ওপেনার মন্ধানা ও শেফালি হাত খুলে মারা শুরু করেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগান তাঁরা। লক্ষ্য কম থাকলেও ধীরে সুস্থে খেলার চেষ্টা করেননি। পাওয়ার প্লে-তে ৪৬ রান করে ভারত।
পাওয়ার প্লে-র পরে ফিল্ডিং ছড়িয়ে যাওয়ায় রানের গতি একটু হলেও কমে যায় ভারতের। তাতে অবশ্য জিততে কোনও সমস্যা হয়নি। কোনও বোলারই দুই ওপেনারকে আউট করতে পারেননি। অর্ধশতরান করেন মন্ধানা। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে জেতে ভারত। মন্ধানা ৫৫ ও শেফালি ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।