শেফালি বর্মা। —ফাইল চিত্র
প্রথম ইনিংসের পরে দেখে মনে হয়েছিল ভারতের মহিলা দলকে হারিয়ে বোধহয় সিরিজ়ে সমতা ফেরাবে বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৬ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আট রানে ম্যাচ জিতলেন হরমনপ্রীত কৌরেরা। ভারতের হয়ে ম্যাচের নায়ক শেফালি বর্মা। তবে ব্যাট হাতে নয়, বল হাতে। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জিততে ১০ রান করতে হত। মাত্র এক রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন শেফালি। তার মধ্যে একটি রান-আউট। এই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে গেল ভারত।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। আগের ম্যাচে স্মৃতি মান্ধানা ভাল খেললেও এই ম্যাচে রান পাননি তিনি। ১৩ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার শেফালি ১৯ রান করেন, যা দলের সর্বোচ্চ। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। এই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন তিনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তিন উইকেট হারায় ভারত।
মাঝের ওভারেও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে ভারতের। জুটি না হওয়ায় রানের গতি কম ছিল। শেষ দিকে দীপ্তি শর্মা ও অমনজ্যোৎ কৌর দলকে কিছুটা টানেন। ২০ ওভারে আট উইকেটে ৯৫ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সুলতানা খাতুন তিন, ফাহিমা খাতুন দুই এবং মারুফা আখতার, নাহিজা আখতার ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট নেন।
এত কম রান করে ম্যাচ জিততে হলে বোলিংয়ের শুরুটা ভাল করতে হত ভারতকে। সেটাই করেন মিন্নু মণি ও দীপ্তি। বাংলাদেশের টপ অর্ডার রান পায়নি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তাদেরও তিন উইকেট পড়ে যায়। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ছাড়া বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। নিগার ৩৮ রান করেন। কিন্তু তাঁকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি।
নিয়মিত উইকেট পড়লেও লক্ষ্য কম থাকায় ধীরে ধীরে সে দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। নিগার যত ক্ষণ ছিলেন তত ক্ষণ আশা ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে নিগারকে আউট করে বাংলাদেশকে সব থেকে বড় ধাক্কা দেন দীপ্তি। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ১০ রান করতে হত। হরমনপ্রীত বল তুলে দেন শেফালির হাতে। ওভারের প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে উইকেট পড়ে। মাত্র এক রান হয় সেই ওভারে। ২০ ওভারে ৮৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আট রানে ম্যাচ জেতেন হরমনপ্রীতেরা। ভারতের হয়ে দীপ্তি ও শেফালি তিনটি করে, মিন্নু দু’টি ও বারেদ্দি অনুষা একটি উইকেট নেন।