মোহালিতে বল হাতেও সফল জাডেজা। ছবি: পিটিআই
ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৭৫ রান। দু’ইনিংস মিলিয়ে বল হাতে ৮৭ রানে ৯ উইকেট। ৬০ বছর পর ভারতের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই টেস্টে দেড়শোর বেশি রান এবং ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন এই অলরাউন্ডার। স্বভাবতই তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল না। নেওয়াও হয়নি।
ম্যাচের সেরা হয়ে খুশি জাডেজা জানিয়েছেন, মোহালির মাঠ তাঁর জন্য সবসময়ই পয়া। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং মহম্মদ শামির সঙ্গে দু’টো বড় জুটি গড়েছেন জাডেজা। কিন্তু সব থেকে খুশি হয়েছেন মোহালির বাইশ গজের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পেরে। তিনি বলেছেন, ‘‘যখনই আমি এখানে আসি, তখনই ইতিবাচক কিছু পাই। উইকেটের সঙ্গে একটা জুটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম। সত্যি বলতে পরিসংখ্যানের বিষয়টা জানতাম না। কিন্তু ব্যাট এবং বল হাতে দলের জন্য অবদান রাখতে পারায় খুশি হয়েছি।’’ ম্যাচের পর তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এরকম পারফরম্যান্স করতে পারলে আপনি আত্মবিশ্বাস পাবেন। ব্যাট হাতে আলাদা কিছুই করার চেষ্টা করিনি। শুধুমাত্র নিজের প্রবৃত্তিকে সমর্থন করে গিয়েছি।’’ নিজের ১৭৫ রানের ইনিংস সম্পর্কে জাডেজা বলেছেন, ‘‘প্রথমে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছি। তার পর শট খেলেছি। সাধারণ ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি।’’
এর আগে ভারতে দিন-রাতের টেস্ট খেলেননি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নতুন অভিজ্ঞতা হবে তাঁর। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘এসজি গোলাপি বলে কখনও খেলিনি। নতুন ব্যাপার হবে। যদিও আমি আশাবাদী। দু’দিন পর অনুশীলন শুরু করলে বুঝতে পারব। এসজি বলে ব্যাট করতে অবশ্য আমার সবসময়ই ভাল লাগে।’’
মোহালির দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনার অন্যতম মধ্যমণি জাডেজা। শুধু ব্যাট নয়, বল হাতেও সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করেছেন মোহালিতে। প্রথম টেস্ট তিন দিনেই শেষ হয়ে যাওয়ায় দু’দিন বিশ্রামের সুযোগ পাবেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যা দ্বিতীয় টেস্টের আগে খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক হবলেই মনে করছেন তিনি।