রোহিত শর্মা। —ফাইল ছবি
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেই জয়। তাও আবার ইনিংস এবং ২২২ রানের বিশাল ব্যবধানে। যা ভারতের টেস্ট জয়ের ইতিহাসে চতুর্থ বৃহত্তম। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত রোহিত শর্মা। তিনি বিশেষ প্রশংসা করেছেন রবীন্দ্র জাডেজার।
মোহালিতে মাত্র তিন দিনেই জয় এসেছে। এমন হবে ভাবেননি ভারতীয় দলের অধিনায়ক। খেলা শেষে রোহিত বলেছেন, ‘‘আমার অধিনায়ক জীবনের শুরুটা দুর্দান্ত হল। তিন দিনেই খেলা শেষ হয়ে গেল। এমন হতে পারে কখনও ভাবিনি।’’ রোহিতের মতে মোহালির বাইশ গজ ছিল ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। স্পিনার এবং ফাস্ট বোলারদেরও সাহায্য করেছে পিচ।
দলের বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক। তাঁদের প্রশংসা করে রোহিত বলেছেন, ‘‘বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা নাগাড়ে বল করে গেছে। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের উপর চাপ বজায় রেখেছে।’’ মাঠ নিয়ে রোহিতের বক্তব্য. ‘‘ আমরা জানতাম এখানকার আউটফিল্ড খুব দ্রুত গতির। সহজেই রান আসতে পারে। দেখে জায়গা মতো বলটাকে ঠেলতে পারলেই হবে।’’
তাহলে ভারতের বোলাররা কী করে মাত্র দেড় দিনে শ্রীলঙ্কার ২০ উইকেট ফেলে দিলেন? রোহিত বলেছেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করেছি অন্যরকম কিছুর জন্য। যেমন কোনও বলের বাউন্স একটু বেশি বা কম হল। অপেক্ষা করেছি ওদের ব্যাটারদের ভুলের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ ব্যাপার যে বিরাটের এই বিশেষ টেস্টে বেশ কয়েকটা দুর্দান্ত ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স হয়েছে।’’
ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্তকে দলের এবং জাডেজার বলে জানিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘ভাবুন জাডেজা কতটা নিঃস্বার্থ!’’আরও বলেছেন, ‘‘প্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্যই থাকে দলের জয়। তার মধ্যে দারুণ কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিষয়টাকে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তোলে।’’ অধিনায়কের মুখে প্রশংসা শোনা গেছে রবিচন্দ্রন অশ্বিনেরও। রোহিত বলেছেন, ‘‘জাডেজা, অশ্বিনরা ভারতে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছে। প্রচুর উইকেটও পেয়েছে। কিন্তু ওরা না থাকলে কী হবে? সে কারণেই আমরা এখানে জয়ন্ত যাদবকেও সুযোগ দিয়েছিলাম।’’
বেঙ্গালুরুতেও দলের এই ছন্দ ধরে রাখাই লক্ষ্য ভারতীয় দলের অধিনায়কের। শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট নিয়ে রোহিত বলেছেন, ‘‘ভারতে দ্বিতীয়বার গোলাপি বলে টেস্ট হতে চলেছে। এখানে এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। ভারতের বাইরের মতো নয়। দেখা যাক কীরকম উইকেট সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।’’