নতুন স্পিন জুটি ভারতের? ছবি পিটিআই
দেশের মাটিতে তিনটি গোলাপি বলের টেস্টই জিতল ভারত। কলকাতা, আমদাবাদের পর বেঙ্গালুরুতেও এল জয়। বেঙ্গালুরুতে ভারতকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং অক্ষর পটেল। প্রথম জন ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছেন, পরের জন ৩ উইকেট নিয়েছেন।
অশ্বিন আবার ডেল স্টেনের ৪৩৯ উইকেটও টপকে গিয়েছেন। নিজের নজিরের কথা বলতে গিয়ে ম্যাচের পর বলেছেন, “এই ম্যাচে কী কীর্তি গড়তে পারি, সেটা নিয়ে কখনও ভাবিনি। ব্যাপারটা কঠিন ছিল, কারণ লাল বলের ম্যাচ খেলার পর এখানে এসেছিলাম। এই বলের আচরণ সম্পূর্ণ অন্য রকম। তাই নিজের স্পেল উপভোগ করার দিকেই নজর দিয়েছিলাম।”
নিজের বোলিং নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, “ছন্দ, বল করার ভঙ্গি, কতটা স্পিন করাব এ সব অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয়। এই পিচে বেশি স্পিন পাওয়া কঠিন ছিল।” আমদাবাদের গোলাপি বল টেস্টের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে তাঁর অভিমত, “আমদাবাদের পিচ অনেক বেশি গতিশীল ছিল। আর একটু বাউন্সও ছিল। এখানে ব্যাট করার সময়েই দেখছিলাম বল অনেকটা বাঁক খাচ্ছে। এখানে দিমুথ দারুণ ব্যাটিং করেছে। কারণ ওর পায়ের নড়াচড়া ভাল ছিল।”
অশ্বিন মেনে নিয়েছেন, কুশল মেন্ডিসের উইকেট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বলেছেন, “ওদের দু’জন তো আমাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। যা-ই শট খেলছিল তাতেই রান পাচ্ছিল। তাই সঠিক গতিতে বোলিং করার দরকার ছিল। রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করার চেষ্টা করছিলাম। প্রথমে কাজে দেয়নি। পরে সেটাতেই সাফল্য পেয়েছি।”
আমদাবাদ দিনরাতের টেস্টে ১১ উইকেট নেওয়া অক্ষর পটেল আবার প্রশংসায় মাতলেন অশ্বিনের। চোট সারিয়ে দলে ফেরা অক্ষর বলেছেন, “এ রকম সতীর্থদের সঙ্গে খেললে বেশি উইকেট নেওয়ার কথা ভাবাই উচিত নয়। তবে নিজের সেরাটা দিয়েছি। কী গতিতে বোলিং করব সেটা নিয়ে অশ্বিন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। নিজের শক্তি কাজে লাগিয়েছি। এই ধরনের পিচে কেমন বল করতে হবে সেটা বুঝতে আমার এক ওভার লেগেছে।”
স্বাভাবিক ভাবেই চলে এল আইপিএলের প্রসঙ্গ। অক্ষর বললেন, “রাজস্থানে খেলবে অশ্বিন ভাই। ওকে অনেক শুভেচ্ছা। একসঙ্গে বোলিং করাটা খুব মিস করব। তবে এতে আমাদের কিছু করার নেই।”