প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে ভারত। বেঙ্গালুরুতে গোলাপি বলের টেস্টেও পাল্লা ভারী ভারতেরই। সেই টেস্টে নামার আগে দলের প্রথম একাদশে কী কী পরিবর্তন আনতে পারেন রোহিতরা? গোলাপি বলের টেস্টেও তিন স্পিনার নিয়েই নামবে ভারত? দেখে নেওয়া যাক ভারতের সম্ভাব্য একাদশ।
রোহিত শর্মা: অধিনায়ক হিসাবে প্রথম টেস্টে জয় দিয়েই শুরু করেছেন তিনি। তবে পুল মারতে গিয়ে তাঁর আউট হওয়া ভাল চোখে দেখছেন না অনেকে। অভিজ্ঞরা রোহিতকে আপাতত পুল মারতেই বারণ করে দিচ্ছেন। ব্যাটার রোহিত কি গোলাপি বলের টেস্টে বড় রান পাবেন?
ময়ঙ্ক অগ্রবাল: টেস্ট ওপেনার হিসাবে রোহিতের সঙ্গী তিনিই। শুভমনদের পিছনে ফেলে দলের ভরসা হয়ে উঠছেন ময়ঙ্ক। বেঙ্গালুরুতেও অন্যথা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
হনুমা বিহারী: মোহালিতে অর্ধশতরান করে তিন নম্বরে নিজের জায়গা আপাতত পাকা করে ফেলেছেন তিনি। চেতেশ্বর পুজারার ফের জায়গা পাওয়া মুশকিল হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সাসেক্সের হয়ে খেলতে যাওয়া পুজারাকে বিদেশ সফরের জন্য ভাবা গেলেও দেশের মাটিতে আপাতত হনুমাই ভারতের তিন নম্বর।
বিরাট কোহলী: শেষ শতরান এসেছিল গোলাপি বলের টেস্টে দু’বছর আগে। দেশের মাটিতে আরও একটা গোলাপি বলের টেস্ট শুরু শনিবার। শতরানের খরা কাটবে কোহলীর?
ঋষভ পন্থ: মোহালিতে অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া। বেঙ্গালুরুতে সেই দুঃখ ঘোচাতে পারবেন ভারতের এক নম্বর উইকেটরক্ষক?
শ্রেয়স আয়ার: মোহালিতে বড় রান না পেলেও আপাতত তাঁকেই রাখা হবে দলে। অভিষেক টেস্টে শতরান করা শ্রেয়সকে আরও কিছু সুযোগ দেবেন নির্বাচকরা। অজিঙ্ক রহাণের পরিবর্ত হিসাবে তাঁকেই দেখছে দল।
রবীন্দ্র জাডেজা: বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারকে দলের বাইরে রাখার কথা নয়। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা জাডেজা। যে কোনও ভাবে দলকে সাহায্য করতে তৈরি থাকেন তিনি।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: কপিলের রেকর্ড ভাঙার পর তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছেন স্বয়ং কপিলই। ৫০০ উইকেট নিতে পারবেন অশ্বিন? গোলাপি বলে কতটা স্পিন হবে সেই দিকেও নজর থাকবে সকলের।
মহম্মদ শামি: গোলাপি বলের টেস্টে মানেই পেসারদের দাপট। অভিজ্ঞ শামি অপেক্ষা করবেন সেই বলে ঝড় তোলার জন্য।
যশপ্রীত বুমরা: শামির সঙ্গে থাকবেন বুমরাও। দলের সহ-অধিনায়ককে বাইরে রাখার কথা ভাববেনই না রোহিতরা।
মহম্মদ সিরাজ: শামি-বুমরার সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসাবে দলে ফিরবেন সিরাজ? নাকি জয়ন্ত যাদবের বদলে অক্ষর পটেলকে নেওয়া হবে প্রথম একাদশে? গোলাপি বলের টেস্টে পেসারদের পাল্লা ভারীর কথা ভেবে সিরাজকে দলে নেওয়া যেতেই পারে। তবে অক্ষর দলে আসা মানে ব্যাট হাতেও দলের শক্তি বৃদ্ধি।