চিন্নাস্বামীতে হতে চলেছে ঐতিহাসিক ম্যাচ ফাইল ছবি
সেই ১৯৯৬ সালের ৯ মার্চ প্রথম বার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে জ্বলেছিল ফ্লাডলাইট। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারত ৩৯ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। শহরের বুকে সেটাই প্রথম দিন-রাতের কোনও ম্যাচ। ২৬ বছর পর আবার ইতিহাসের হাতছানি চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। এ বার দিন-রাতের টেস্ট হতে চলেছে সেখানে।
বোর্ডের সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ মার্চ থেকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দিন-রাতের টেস্ট হতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, গোলাপি বলেই সেই টেস্ট খেলা। সেই ম্যাচে দর্শক প্রবেশ করতে দেওয়া যায় কিনা, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কর্ণাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা। পাশাপাশি, আরও নতুন কিছু করা যায় কিনা সেটাও আলোচনা চলছে।
দেশে এবং কর্ণাটকে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের অবস্থা স্থিতিশীল। তাই সাবধানতা অবলম্বন করে মাঠে দর্শক প্রবেশ করতে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। কর্ণাটক রাজ্য সংস্থার আশা, মার্চের মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভাল হবে। ফলে যত বেশি সম্ভব দর্শককে মাঠে প্রবেশ করাতে আগ্রহী তারা।
সংস্থার সচিব সন্তোষ মেনন বলেছেন, “দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন করার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত। ক্রিকেটার এবং সমর্থক, সবার কাছেই এটা একটা ঐতিহাসিক ম্যাচ হতে চলেছে। কতজন দর্শককে প্রবেশ করতে দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা রাজ্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলব। আশা করি সংক্রমণ আরও কমে যাবে আগামী কয়েকদিনে।”
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে আমদাবাদে এক দিনের সিরিজ হয়েছে রুদ্ধ দ্বার স্টেডিয়ামে। সিএবি-র বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও টি-টোয়েন্টি সিরিজও ফাঁকা মাঠে হতে চলেছে।