হতাশ পন্থ। —ফাইল চিত্র
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হার ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের সামনে ধ্বংস ভারতীয় বোলিং বিভাগ। ৪ উইকেটে হার ঋষভ পন্থদের। প্রথমে ব্যাটিং ব্যর্থতা, পরে স্পিনারদের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচেও হার ভারতের।
ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে প্রথম ওভারেই হারায় ভারত। অন্য ওপেনার ঈশান কিশন এবং শ্রেয়স আয়ার সেই অভাব ঢাকার চেষ্টা করেন। তাঁরা জুটিতে ৪৫ রান যোগ করেন। ঈশান ফেরেন ৩৪ রান করে। শ্রেয়স করেন ৪০ রান। কটকের মাঠে ব্যর্থ ঋষভ পন্থ এবং হার্দিক পাণ্ড্য। ভারতের তরুণ অধিনায়ক ফেরেন মাত্র পাঁচ রান করে। হার্দিক আউট ন’রানে। রান পাননি অক্ষর পটেলও। তিনি করেন মাত্র ১০ রান।
১৭ ওভারে ভারতের ছিল ১১২ রান। সেখান থেকে ভারতকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন দীনেশ কার্তিক এবং হর্ষল পটেল। শেষ তিন ওভারে তাঁরা তোলেন ৩৬ রান। শেষ ওভারে প্রিটোরিয়াসকে দু’টি ছয় মারেন কার্তিক। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৪৯ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত।
নিজের প্রথম তিন ওভারে তিনটি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার। কম রানের লড়াইয়ে শুরুতে ভারতের উইকেট প্রয়োজন ছিল। সেটাই করলেন ভুবি। ওপেনার রিজা হেনড্রিক্স (৪), তিন নম্বরে নামা ডোয়েন প্রিটোরিয়াস (৪) এবং গত ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংস খেলা রাসি ভান ডার ডুসেনকে (১) ফিরিয়ে দেন তিনি।
ভারতের কাঁটা হয়ে ওঠেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা এবং হেনরিক ক্লাসেন। ৬৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। বাভুমা ৩৫ রান করে ফিরলেও ক্লাসেন ধ্বংস করতে থাকেন ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে। তাঁর সঙ্গী হন মিলার। আইপিএলে বেগুনি টুপির মালিক যুজবেন্দ্র চহাল চার ওভারে দিলেন ৪৯ রান। নিলেন একটি উইকেট। অক্ষর পটেল এক ওভারে ১৯ রান দেওয়ার পর তাঁকে আর বলই করাতে পারলেন না পন্থ।
ভুবনেশ্বর চার ওভার বল করে মাত্র ১৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। হর্ষল পটেল ১৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। আবেশ খান তিন ওভারে দেন ১৭ রান। তাঁরা কিছুটা চাপ তৈরি করলেও বাকি বোলাররা ব্যর্থ। হার্দিক পাণ্ড্য তিন ওভারে ৩১ রান দেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে হার। পরের তিনটি ম্যাচেই জিততে হবে ভারতকে। আর একটি ম্যাচ হারলেই সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।