সতীর্থদের পাশে দাঁড়ালেন সঞ্জু। ছবি: টুইটার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে ৯ রানে হেরেছে ভারত। পরে ব্যাট করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি শিখর ধাওয়ানের দল। ভারতের একাধিক ব্যাটারের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সঞ্জু স্যামসন অবশ্য সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর যুক্তি, মাত্র দু’টো বড় শটের ব্যবধানে হেরেছেন তাঁরা।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। মূলত তাঁর ৬৩ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছয় ভারতীয় দল। নিজের ইনিংস নিয়ে খুশি সঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেটে সময় কাটাতে সব সময় ভাল লাগে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে থাকলে আরও বেশি ভাল লাগে। আমরা সব সময় জেতার লক্ষ নিয়ে খেলি। মনে হয় আর দু’টো ভাল শট মারতে পারলেই আমরা জিতে যেতাম। একটা ছয় আর একটা চার মারলেই হত। পরের ম্যাচে এই পার্থক্যটুকু মুছে ফেলতে চাই আমরা।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের প্রশংসা করেছেন সঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা বেশ ভাল বল করেছে। শুধু তাবরেজ শামসি একটু বেশি রান দিয়েছে। আক্রমণের জন্য আমরা মূলত ওকেই বেছে নিয়েছিলাম। শেষ ওভারে ২৪ রান বাকি থাকলেও তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ জানতাম শামসির এক ওভার বাকি। ওর ওভারে চারটে ছয় মারার আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। সেই মতোই পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা।’’
দু’দলের খেলায় কী পার্থক্য দেখলেন? সঞ্জু বলেছেন, ‘‘পার্থক্য তৈরি হয়েছে প্রথম ১৫ ওভারে। নতুন বলে দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভাল ব্যাটিং করেছে। তার পর ওরাও সহজে ব্যাটিং করেছে। শুরুর দিকে বল সুইং করছিল। ১৫-২০ ওভারের পর ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়। আমি ৮০-র বেশি রান করলেও কিছু ভুল করেছি। এই ম্যাচ আমাদের শিক্ষা দিল। আশা করব পরের ম্যাচে আমরা একই ভুল করব না।’’
সঞ্জু মেনে নিয়েছেন, ভারতের বোলিং আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘অবশ্যই কিছু জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। তা ছাড়া ওদের ইনিংসের শেষ দিকে ডেভিড মিলার উইকেটে ছিল। মিলার এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার। এ রকম মাঠে ওর বিরুদ্ধে বল করা কঠিন চ্যালেঞ্জের।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘শেষ পাঁচ ওভারে আমরা ৫০-এর বেশি রান দিয়েছি। এটা উদ্বেগের। আমাদের উন্নতি করতে হবে। ওদের দলে অভিজ্ঞতা প্রচুর। আমাদের বোলারদের কাজটা বেশ কঠিন।’’