সেই ঘটনার সময় বিরাট কোহলী। ছবি: টুইটার থেকে
একটি উইকেট পাওয়ার জন্য তখন ছটফট করছে ভারত। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা কিছুতেই টলাতে পারছেন না ডিন এলগারকে। দ্বিতীয় ম্যাচের মতো আবার তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিতিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। এমন সময়ই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ-এর আবেদন। আউট দিলেন আম্পায়ার। তারপর যা ঘটল তা কোনও নাটকের থেকে কম নয়।
আম্পায়ার মারিয়াস ইরাসমাসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নেন এলগার। সেখানে দেখা যায় বল এলগারের পা ছুঁলেও উইকেটের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। উইকেটে লাগার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না বলের। তৃতীয় আম্পায়ার আল্লাহুডিয়েন পালেকর ইরাসমাসকে নির্দেশ দেন সিদ্ধান্ত বদল করার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরক্তি ফুটে ওঠে। সকলে অবাক হয়ে যান। বল এলগারের পায়ের যেখানে লেগেছে সেখান থেকে এতটা উপরে কী করে যাওয়া সম্ভব বুঝতেই পারছিলেন না আম্পায়াররা।
সেই সময় স্টাম্প মাইকের কাছে গিয়ে কথা বলতে দেখা যায় বিরাট কোহলীদের। ভারত অধিনায়ক বলেন, “দারুণ ডিআরএস, খুব ভাল খেললে।” লোকেশ রাহুল বলেন, “গোটা দেশ খেলছে ১১ জনের বিরুদ্ধে।” কোহলীকে ফের বলতে শোনা যায়, “শুধু বিপক্ষ নয়, নিজের দলের দিকেও দেখো, সব সময় লোককে ধরতে চাইছে।” একদিকের স্টাম্পে যখন এই ধরনের কথা উঠে আসছে, সেই সময় উল্টো দিকের উইকেটে কথা বলতে শোনা যায় অশ্বিনকে। তাঁর অভিযোগের তির দক্ষিণ আফ্রিকার সম্প্রচারকারী সংস্থার (সুপারস্পোর্ট) বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “অন্য ভাবে জেতার পথ খোঁজা উচিত সুপারস্পোর্টের।” মাঠের আম্পায়ার ইরাসমাসও অবাক হন। তিনি বলেন, “এটা অস্বাভাবিক।”
সুপারস্পোর্টের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময় টুইট করে সেই ডিআরএস-এর ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। তাদের মতে পিচে বাউন্স রয়েছে। সেই কারণেই বলের উচ্চতা রয়েছে। এলগার সেই কারণেই আউট হননি ওই বলে।
দিনের শেষে এলগারের উইকেট নেন বুমরা। কেপ টাউনে জিততে হলে আরও আটটি উইকেট নিতে হবে ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১১১ রান।