কী শিক্ষা নিতে পারেন কোহলী-রাহুলরা। —ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে ধরেই নেওয়া হয়েছিল, প্রথম বার সে দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস তৈরি করে দেশে ফিরবে ভারত। প্রথম টেস্ট জেতার পরে সেই বিশ্বাস আরও জোরদার হয়। কিন্তু পরের দু’টি টেস্টে হেরে ভারত সিরিজ হারে ১-২ ফলে। এক দিনের সিরিজে ০-৩ ফলে হারতে হয় ভারতকে।
অপ্রত্যাশিত এই হার থেকে যে তিনটি শিক্ষা নিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
এক, হার্দিক পাণ্ড্যর পরিবর্ত তৈরি হয়নি
এই সিরিজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, গত কয়েক বছরে অলরাউন্ডার খুঁজে পায়নি ভারত। ভরসা সেই হার্দিক পাণ্ড্য। শার্দূল ঠাকুর, দীপক চাহাররা বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে হয়ত ভাল ভাবে কাজ চালিয়ে দিতে পারবেন, কিন্তু ব্যাটার অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিকের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি।
দুই, রবীন্দ্র জাডেজারও বিকল্প নেই
টেস্ট সিরিজই হোক, বা এক দিনের সিরিজ, সাত নম্বর জায়গা নিয়ে ভারতকে খুব ভুগতে হয়েছে। রবীন্দ্র জাডেজা দলে থাকলে যে ভারসাম্য থাকে, তা টেস্ট বা এক দিনের সিরিজ, কোনওটিতেই ছিল না। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিনটি বিভাগেই জাডেজা থাকলে যে সুবিধা ভারত পায়, তার স্পষ্ট অভাব বোঝা গিয়েছে এই সফরে।
তিন, নতুন টিম ম্যানেজমেন্টের সময় লাগবে
ভারতীয় দল একটা সন্ধিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তিন ধরনের ক্রিকেটেই বিরাট কোহলী আর নেতৃত্বে নেই। খানিক আকস্মিক ভাবেই ভারতীয় ক্রিকেটে এই ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে অস্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে লোকেশ রাহুল কাজ চালিয়েছেন। কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ও সবে শুরু করেছেন। এর পর রোহিত শর্মা এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। ফলে আরও একটি বদলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ভারতীয় দলকে। টেস্ট দলের অধিনায়ক এখনও ঠিক হয়নি। সেখানেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সব মিলিয়ে এই দলের ধারাবাহিক সাফল্য পেতে হয়ত কিছুটা সময় লাগবে।