স্বপ্ন ভঙ্গ কোহলীদের। ফাইল ছবি
কাজটা কঠিন ছিল। কিন্তু শুক্রবার অসম্ভবকে সম্ভব করার লক্ষ্য নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারত। সেইসঙ্গে ছিল একরাশ স্বপ্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বার টেস্ট সিরিজ জয়। তবে এ বারের মতো সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বিরাট কোহলীর দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জেতা হল না। ভাঙাচোরা দল এবং অনভিজ্ঞতা ক্রিকেটারদের নিয়ে বাজি মেরে বেরিয়ে গেল ডিন এলগারের দল। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ৭ উইকেটে।
শুক্রবার চতুর্থ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৮ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ১১১ রান। কিন্তু প্রথম থেকেই ভারতীয় বোলারদের অনায়াসে খেলে দিতে থাকেন কিগান পিটারসেন এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামিকে নিয়ে দু’দিক থেকে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন কোহলী। কিন্তু অনমনীয় মনোভাব নিয়ে ক্রিজে পড়ে থাকা পিটারসেন এবং ডুসেন কোনও ভাবে হারতে রাজি ছিলেন না। শুরুতেই ডুসেনের ব্যাট প্রায় ছুঁয়ে অন্তত দু’বার বল গিয়েছিল ঋষভ পন্থের কাছে। কিন্তু কোনও বারই ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কাটা দেন শার্দূল ঠাকুর। ফিরিয়ে দেন উইকেটে জমে যাওয়া পিটারসেনকে।
শতরানের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায় পিটারসেনের কাছে। কিন্তু এই টেস্টের ভবিষ্যৎ ততক্ষণে লিখে দিয়েছিলেন তিনি। পিটারসেনের বদলে নামা তেম্বা বাভুমা দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ডুসেনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলকে জয়ের পথে পৌঁছে দিতে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দমনীয় মনোভাবের সামনে দাঁত ফোটাতেই পারলেন না ভারতীয় বোলাররা।
টেস্ট সিরিজ হারার পরে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে এবং প্রথমেই সামনে চলে আসছে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ইনিংসে পন্থ অপরাজিত শতরান করলেও বাকি কোন ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। কোহলী নিজেও ব্যর্থ। ২১২ রান এই ধরনের পিচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপদে ফেলার জন্য কোনওমতেই যথেষ্ট নয়। আগেই সে কথা বলে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞরা। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। ৭ উইকেটে অনায়াসে ম্যাচ বের করে নিল এলগারের দল।
প্রশংসা প্রাপ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদেরও। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে হেরে মনোবল অনেকটাই ভেঙে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নিনা তারা। প্রথমে জোহানেসবার্গের মতো মাঠে ভারতকে হারাল এলগারের দল। তারপরে কেপ টাউনে কার্যত উড়িয়ে দিল কোহলীদের।