লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়। কিন্তু দলের অন্দরের পরিবেশের কথা বার বার বাইরে চলে আসছে। সেই প্রভাব কি মাঠেও পড়বে? নাকি বিরাট কোহলীর প্রথম একাদশ গুঁড়িয়ে দেবে বিপক্ষকে। কেমন হতে পারে সেই একাদশ?
লোকেশ রাহুল: দলের সহ-অধিনায়ক তিনি। ওপেনার হিসাবে তাঁকেই দেখা যাবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। রোহিত শর্মার অবর্তমানে শুধু সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব নয়, ওপেনার হিসাবেও বড় ভূমিকা নিতে হবে রাহুলকে।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল: দলে নেই রোহিত। রাহুলের সঙ্গে ওপেন করবেন ময়াঙ্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন তিনি। রোহিতের না থাকা সোনার সুযোগ হয়ে উঠতে পারে তাঁর সামনে।
চেতেশ্বর পুজারা: ছন্দে নেই ভারতের তিন নম্বর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স বরাবরই ভাল। বক্সিং ডে-তে শুরু হতে চলা সেই টেস্ট থেকেই নিজের ছন্দ খুঁজে পেতে চাইবেন তিনি।
বিরাট কোহলী: বিতর্ক জুড়ে গিয়েছে কোহলীর নামের সঙ্গে। সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতকে আর নেতৃত্ব দেবেন না তিনি। লাল বলের খেলায় নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবেন তিনি। এ হেন কোহলীর ব্যাট থেকে কি শতরান আসবে আফ্রিকার মাঠে?
অজিঙ্ক রহাণে: সহ-অধিনায়কের সম্মান হারিয়েছেন। ব্যাটে রান নেই। চোয়াল কঠিন হচ্ছে মুম্বইয়ের ব্যাটারের। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে উত্তর দেবে তাঁর ব্যাট?
হনুমা বিহারী: বাদ পড়েছিলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজে। তড়িঘড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভারত ‘এ’ দলের হয়ে খারাপ খেলেননি। এখন দেখার ভারতীয় দলেও জায়গা পান কি না তিনি।
ঋষভ পন্থ: উইকেটরক্ষক হিসাবে ভারতীয় দলের প্রথম পছন্দ পন্থই। তবে দলে ঋদ্ধিমান রয়েছেন। দ্রাবিড় যুগে তিনি কি সুযোগ পাবেন প্রথম একাদশে?
রবিচন্দ্রন অশ্বিন: বিদেশের মাটিতে একজন স্পিনার নিয়েই খেলতে চাইবে ভারত। সে ক্ষেত্রে অশ্বিনই সুযোগ পেতে পারেন। ছন্দেও রয়েছেন তিনি।
মহম্মদ শামি: তিন পেসার নিয়ে নামতে পারে ভারত। শামি হয়ে উঠতে পারেন প্রধান অস্ত্র। সুইং দিয়ে মাত করতে পারেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের।
মহম্মদ সিরাজ: ছন্দে রয়েছেন তিনিও। শামির সঙ্গে সুযোগ পেতে পারেন এই পেসার। ইশান্ত শর্মার বদলে তাঁকে নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যশপ্রীত বুমরা: ভারতীয় দলের প্রধান অস্ত্র তিনি। বোলিং আক্রমণ তৈরি হতে পারে তাঁকে ঘিরে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ভারতীয় দলের বড় ভরসা এই পেসার।