দুরন্ত শতরান কেএল রাহুলের। ছবি টুইটার
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, টেস্ট ম্যাচের সকালটা দেখে বোঝা যায় বাকি দিনটা কেমন হতে চলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতের প্রথম দিনটা দেখে সেটা ভাল ভাবেই বোঝা গেল। শুরুতেই যে ভাবে দলকে শক্তি ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের দুই ওপেনার, তাতেই দিনের শেষে চালকের আসনে বিরাট কোহলীর দল।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কোহলী। চার পেসারে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার কেশব মহারাজও। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেও প্রথম আড়াই ঘণ্টায় ভারতের একটাও উইকেট ফেলতে পারলেন না কাগিসো রাবাডা, লুনগি এনগিডিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার সব থেকে অভিজ্ঞ দুই পেসারকে অনায়াসে খেলে দিলেন কেএল রাহুল এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল। এমনকী, লম্বা তরুণ বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেনকে এনেও লাভ হল না।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত ভারতের কোনও উইকেট পড়েনি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে যেমন খেলেছিলেন, সেই ছন্দই ধরে রাখলেন ময়াঙ্ক। তবে অর্ধশতরানের পর মনঃসংযোগে চ্যুতি ঘটেছিল। যে কারণে এনগিডির ভেতরে ঢুকে আসা বলে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হলেন।
এরপর নামলেন চেতেশ্বর পুজারা। তিনি এলেন এবং গেলেন। প্রথম বলেই পিটারসেনের হাতে ক্যাচ। ঘরের মাঠ হোক বা বিদেশ, পুজারার খারাপ ছন্দ যেন কাটতেই চাইছে না। চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার শূন্য রানে আউট হলেন। গড় নামতে নামতে তিরিশের নীচে। এই টেস্টের আগে পাঁচ নম্বরে কাকে খেলানো হবে তাই নিয়ে ভারতীয় শিবিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এরপর মনে হচ্ছে তিন নম্বর জায়গা নিয়েই বেশি আলোচনা হবে। কারণ এরপর পুজারার জায়গা বাঁচানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
রাহুলকে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলারই নেই। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকাতেও শতরান হয়ে গেল তাঁর। দিনের শেষে ১২২ রানে ব্যাট করছেন তিনি। দেশের মাটি হোক বা বিদেশের, ওপেনার হিসেবে ভারতীয় দলে রীতিমতো শক্তিশালী জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন ভারতের নবনিযুক্ত সহ-অধিনায়ক।
যাঁর খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, সেই রহাণেও দিনের শেষে আশা জাগালেন। ৪০ রানে অপরাজিত। তবে যে ছন্দে তিনি খেলেছেন, তাতে আশান্বিত সমর্থকরা। তবে এত সবের মধ্যেও সমর্থকদের মনে একটু চিন্তা থেকে গেল কোহলীর কারণে। নখদাঁতহীন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনেও বড় রান পেতে ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক।