T20 World Cup 2024

টিকিটের চাহিদা দর্শকাসনের ২০০ গুণ! ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় আমেরিকার আয়োজকেরা

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬টি ম্যাচ হওয়ার কথা আমেরিকায়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা দেখে বিস্মিত আমেরিকার ক্রিকেট কর্তারা। এই উন্মাদনা কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৬
Share:

(বাঁদিকে) বাবর আজ়ম এবং রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। অথচ এখন থেকেই আয়োজকদের সামলাতে হচ্ছে টিকিটের আবদার। এক-দু’জনের নয়। আবদার আসছে হাজার হাজার। একটি ম্যাচকে ঘিরে মানুষের বিপুল আগ্রহ দেখে বিস্মিত আমেরিকার আয়োজকেরা।

Advertisement

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটপ্রেমীদের যত আগ্রহ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে। আগামী ৯ জুনের এই ম্যাচের টিকিটের আবদার সামলাতে সামলাতে নাজেহাল হওয়ার অবস্থা আয়োজকদের। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের দাবি, টিকিটের চাহিদা এখনই স্টেডিয়ামের দর্শক আসনের ২০০ গুণেরও বেশি! ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় বিস্মিত আমেরিকার আয়োজকেরা। কার্যত মাথায় হাত তাঁদের।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অস্থায়ী এই স্টেডিয়ামে ৩৪ হাজার দর্শকাসন থাকার কথা এই স্টেডিয়ামে। আমেরিকার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির চিফ এক্সিকিউটিভ ব্রেট জোন্স বলেছেন, ‘‘টিকিটের চাহিদা অবিশ্বাস্য। এখন থেকেই বিশাল চাহিদা দেখছি আমরা। যে কোনও বিশ্বকাপেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উৎসাহ, আকর্ষণ থাকে। এই দু’টো দেশ এ বার এখানে খেলতে আসছে। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি।’’

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। প্রতিযোগিতার ১৬টি ম্যাচ হবে আমেরিকায়। এই প্রথম এত বড় মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হতে চলেছে আমেরিকায়। ভারত এবং পাকিস্তানের প্রচুর মানুষ বসবাস করেন সে দেশে। মাঠে বসে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, বাবর আজ়মদের খেলা দেখার সুযোগ তাঁরা পান না। স্বাভাবিক ভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচ ঘিরে বিপুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

আয়োজকেরা জানেন, স্টেডিয়ামের দর্শকাসন এবং টিকিটের চাহিদার মধ্যে বিপুল পার্থক্য মেটানো সম্ভব নয়। তবু যত বেশি সম্ভব মানুষকে খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে চান তাঁরা। জোন্স বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ আমরা বেশ উপভোগ করছি। এই উন্মাদনা কাজে লাগিয়ে আমরা স্থানীয়দের মধ্যে খেলাটাকে জনপ্রিয় করতে চাই। যাতে আগামী দিনে এখান থেকেও ভাল খেলোয়াড় উঠে আসে।’’

বিশ্বকাপের চার বছর পর ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হওয়ার কথা। ২০৩২ সালে ব্রিসবেন অলিম্পিক্সেও হবে ক্রিকেট। আমেরিকার ক্রিকেট কর্তাদের আশা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাফল্য অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তিকে আরও যুক্তিসঙ্গত করে তুলবে। জোন্স বলেছেন, ‘‘২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস বিশ্বকাপের আগে বিশ্বকাপ একটা দারুণ সুযোগ। অলিম্পিক্সের মঞ্চ প্রস্তুত করে দিতে পারে বিশ্বকাপ। পর পর দুটো অলিম্পিক্সে ক্রিকেট নিশ্চিত। এটা খেলাটাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিতে পারে। আমেরিকার মতো বড় দেশেও ক্রিকেটের প্রসারের জন্য পর পর দুটো বড় প্রতিযোগিতা সহায়ক হবে।’’

ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে আমেরিকায় যাবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা। আমেরিকাও নিজেদের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। যদিও এখনকার আমেরিকার দলের অধিকাংশ সদস্যই ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার বংশোদ্ভূত। জোন্স মেনে নিয়েছেন তাঁদের এখনও অনেক পথ যেতে হবে। বিশ্বকাপকে মাধ্যম করেই আমেরিকার ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা সেই পথে সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের বিপুল চাহিদা কি সামলাতে পারবেন? আমেরিকার বিশ্বকাপ আয়োজকেরা জানাচ্ছেন, স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের ২০০ গুণ বেশি টিকিট বিক্রির কোনও প্রশ্ন নেই। টিকিট না পাওয়া ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখছেন তাঁরা। ক্রিকেট নিয়ে বিপুল উন্মাদনা কোনও ভাবেই নষ্ট হতে দিতে চান না তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement