বুধবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে দ্বিশতরান করে ফেললেন শুভমন গিল। ছবি: পিটিআই
এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করার ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেটারের একাধিপত্য বরাবরই। সেই একাধিপত্যে নতুন সংযোজন শুভমন গিল। বুধবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে তিনিও দ্বিশতরান করে ফেললেন। কিছু দিন আগেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করেছিলেন ঈশান কিশন। ঘরের মাঠে এ বার শুভমনের ব্যাট থেকেও বেরল মারকুটে ইনিংস।
এক সময় পাকিস্তানের সইদ আনোয়ারের ১৯৪ রানের নজির দীর্ঘদিন ধরে টিকে ছিল। সেই নজির প্রথম বার ভাঙেন সচিন। ২০১০-এ গোয়ালিয়রে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। সেই প্রথম কোনও ভারতীয় এবং বিশ্বের প্রথম কোনও ক্রিকেটারের এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান। তার পর থেকে বহু বার এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান দেখা গিয়েছে। শুধু ভারতীয় নয়, সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মার্টিন গাপ্টিল, ফখর জমানের মতো ভিন দেশের ক্রিকেটারও। কিন্তু দ্বিশতরান করার ব্যাপারে ভারতীয়দের যে দাপট, তা আর কোনও দেশের মধ্যে দেখা যায়নি।
সচিনের কীর্তির পরের বছরই বীরেন্দ্র সহবাগ ২০০ রান করেন। ২০১১-য় ইনদওরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ২১৯ রানের ইনিংস টিকে ছিল বছর তিনেক। ২০১৪-য় তা ভেঙে দেন রোহিত শর্মা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬৪ রান করেন তিনি। সেই ইনিংস এখনও এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান। ভারত সেই ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে জেতে। তবে এই ইনিংসের এক বছর আগেই রোহিত প্রথম দ্বিশতরানটি করেন ২০১৩-য় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে একটি-দু’টি নয়, তিন-তিনটি দ্বিশতরান রয়েছে রোহিতের নামের পাশে।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ২১০ রান করেন ঈশান কিশন। দ্বিশতরানের বিচারে ছ’নম্বরে রয়েছে সেটি। ঈশানের জায়গাতেই ওপেনিংয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল শুভমনকে। সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করলেন না ভারতের ওপেনার। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শতরানের পর এই ম্যাচে দ্বিশতরান করে ফেললেন তিনি।
এক দিনের ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ১০টি দ্বিশতরান রয়েছে। তার মধ্যে রোহিতের একারই তিনটে। ভারতীয়দের মধ্যে বাকি দ্বিশতরানকারীরা হলেন সহবাগ, ঈশান, শুভমন এবং সচিন। এ ছাড়া নিউ জ়িল্যান্ডের গাপ্টিল, পাকিস্তানের ফখর, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ক্রিস গেলের দ্বিশতরান রয়েছে।