উইকেট নেওয়ার পর শামিদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই
রায়পুরে মহম্মদ শামিদের দাপট। দ্বিতীয় ম্যাচেই এক দিনের সিরিজ় জিতে নিতে পারে ভারত। নিউ জ়িল্যান্ড শেষ ১০৮ রানে। ৩ উইকেট নিলেন শামি। ভারতীয় পেসারদের দাপটেই শেষ নিউ জ়িল্যান্ড। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন মাত্র ১০৯ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০টি উইকেট নিয়ে শামির প্রয়োজন ছিল ৪টি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন বাংলার পেসার। কিন্তু ৩৯৯ উইকেটেই থেমে রইলেন তিনি। পরের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। একটা সময় যদিও মনে হচ্ছিল শামির ৪০০ উইকেট হয়ে যাবে। কিন্তু এই ম্যাচে ৪০০তম উইকেটটি নিতে পারলেন তিনি। ভারতের বাকি বোলাররা তুলে নিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের ৭টি উইকেট। হার্দিক পাণ্ড্য এবং ওয়াশিংটন সুন্দর দু'টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদব।
রায়পুরের সবুজ পিচে শুরু থেকেই সুইংয়ের দাপট দেখান পেসাররা। নতুন সাদা বলের সুইং যদিও খুব বেশি ওভার থাকে না। ভারতীয় বোলাররা সেই সময়টাই দেননি নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারদের। ১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারান ফিন অ্যালেনরা। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ ১০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। হার্দিক নিজের বলে নিজেই একটি দুরন্ত ক্যাচ নেন, তাতেই সাজঘরে ডেভন কনওয়ে। ১৫ রানে ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন গত ম্যাচে শতরান করা মাইকেল ব্রেসওয়েল এবং গ্লেন ফিলিপ্স। কিন্তু মাত্র ২২ রান করেই এই ম্যাচে থামতে হয় ব্রেসওয়েলকে। শামির বলে উইকেটরক্ষক ঈশান কিশনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ফিলিপ্স করেন ৩৬ রান।
মিচেল স্যান্টনার করেন ২৭ রান। তাঁকে ফেরান হার্দিক। ভারতীয় অলরাউন্ডার এখন নিয়মিত বল করছেন। ইনিংসের মাঝে হার্দিক বলেন, “এক দিনের ক্রিকেটে নিয়মিত বল করছি। যত বেশি ম্যাচ খেলছি, শরীর তত ফিট হচ্ছে। ঠিক সময়ে এটা হচ্ছে। আমরা এই ম্যাচে বল করার সময় একাধিক কিছু চেষ্টা করিনি। জায়গায় বল করছিলাম। এটা এমন একটা দিন যখন ফিল্ডাররা সব কিছু ধরছিল। বল ফিল্ডারদের হাতে যাচ্ছিল। এটা মাত্র ১০৮ রান করার উইকেট নয়। কিন্তু সব বল ফিল্ডারদের হাতে জমা পড়ছিল।”