কোহলী-বেয়ারস্টো বিবাদ ছবি টুইটার
তিনি অধিনায়ক নন। ব্যাটেও সে ভাবে রান পাননি। তাতে কী! ইংল্যান্ডে বিরাট কোহলী রয়েছেন মেজাজেই। ইংরেজদের ওষুধেই ইংল্যান্ডকে বধ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কোহলী। কখনও জনি বেয়ারস্টোকে ক্রমাগত স্লেজিং করছেন। কখনও সামনে এসে আঙুল তুলে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্টে এ ভাবেই বিভিন্ন রূপে ধরা দিলেন কোহলী।
অধিনায়ক হিসাবে প্রথম বার টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন যশপ্রীত বুমরা। তবে অনুরাগীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, আসল নেতা কি কোহলী? আম্পায়ারকে প্রশ্ন করা, ফিল্ডিং সাজানো, বোলার পরিবর্তনের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই কোহলীকে নিতে দেখা যাচ্ছে। অধিনায়ক হওয়ার পর বুমরা জানিয়েছিলেন, মাঠে তিনি কোহলীর সাহায্য নেবেন। দেখা যাচ্ছে, সেই কাজ আগ্রহভরে করছেন কোহলী।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে শনিবার। ইংল্যান্ডের ইনিংসের তখন ১৪তম ওভার চলেছে। ভারতের জোরে বোলাররা বেয়ারস্টোকে সমস্যায় ফেলতে শুরু করেছেন। তখনই বেয়ারস্টোর উদ্দেশে কোহলী বলে ওঠেন, ‘সাউদির থেকে একটু বেশিই জোরে বল করছে, তাই না?’ উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড দলে ছিলেন সাউদি, যিনি বেশ কয়েক বার সমস্যা ফেলেছিলেন বেয়ারস্টোকে। সেই ঘটনা উল্লেখ করেই বেয়ারস্টোকে খোঁচা দিয়েছেন কোহলী।
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটেছে রবিবার। ম্যাচের তখন ৩২তম ওভার চলছে। শামির একটি বলের পরেই বেয়ারস্টোকে কিছু বলতে বলতে তাঁর দিকে এগিয়ে যান কোহলী। পাল্টা বেয়ারস্টোও জবাব দেন। ঝামেলা বাড়ার আগেই আম্পায়ার এসে দু’জনকে আলাদা করে দেন। তবে ইংরেজ ক্রিকেটারের সঙ্গে কোহলীর বাদানুবাদ উপভোগ করেছেন অনুরাগীরা। অনেকে বলেছেন, এটাই টেস্ট ক্রিকেটের আসল মাহাত্ম্য। বেয়ারস্টোর মনঃসংযোগ অবশ্য নড়াতে পারেননি কোহলী। এই প্রতিবেদন লেখার সময় বেয়ারস্টো অপরাজিত রয়েছেন ৯১ রানে। এগিয়ে যাচ্ছেন আরও একটি শতরানের দিকে।