এজবাস্টনে শতরান পন্থের। ছবি: রয়টার্স
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একের পর এক টস হারছেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হচ্ছেন বার বার। নেতৃত্বের চাপ তাঁকে ব্যাট হাতেও নিষ্প্রভ করে রেখেছিল? এজবাস্টনে পন্থের শতরান দেখলে সেটা মনে হতেই পারে।
নেতৃত্বের ভার মাথা থেকে সরতেই ফের সপ্রতিভ পন্থ। আইপিএলে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। ব্যাটে সে ভাবে রান ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লোকেশ রাহুল শেষ মুহূর্তে চোটের জন্য ছিটকে যেতে অধিনায়ক করা হয় পন্থকে। সিরিজ (২-২) হারতে না হলেও পন্থের নেতৃত্ব এবং ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছিল। তাঁর শট বাছাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। লাল বলের ক্রিকেটে ফিরতেই পাল্টে গেলেন পন্থ। নেতার ‘চাপের’ মুকুট সরে গিয়েছে। সহ-অধিনায়ক হলেও দ্বিতীয়কে আর কে মনে রাখে? পন্থ নিজেও রাখেননি। উল্টে ইংরেজ বোলারদের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিলেন।
এক সময় ভারতের স্কোর ছিল ৯৮/৫। সেখান থেকে দুই বাঁহাতির দাপট দেখল ইংরেজরা। এক দিকে পন্থ দ্রুত রান তুলছেন, অন্য দিকে ক্রিজ কামড়ে পড়ে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। মাত্র ৮৯ বলে শতরান করলেন পন্থ। টেস্টে তাঁর পঞ্চম শতরান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়। পাঁচটির মধ্যে চারটি শতরানই এসেছে বিদেশের মাটিতে। টেস্টে ভারতের উইকেটরক্ষক হিসাবে দ্রুততম শতরান করলেন পন্থ। ভেঙে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রেকর্ড। এমন অনেক কিছুই ঘটল পন্থের হাত ধরে। শতরান করে তিনি যখন হেলমেট খুলে আকাশের দিকে ব্যাট তুললেন, তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ভারতীয় দর্শককুলও।
টেস্টের প্রথম দিনের সকাল থেকে ভারতীয় ব্যাটারদের একের পর এক সাজঘরে ফিরতে দেখছিলেন দর্শকরা, তাতে একটা সময় দেড়শো রান হবে কি না সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল। বিরাট কোহলী আউট হওয়ার পর তো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন একাংশ দর্শক। কিন্তু পন্থ যে অন্য ধাতুতে গড়া। পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের হয়ে ব্যাট করতে নেমেও তিনি স্টেপ আউট করেন নির্ভয়ে। সেই ভয়ডরহীন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটাই করলেন ব্রড, অ্যান্ডারসনদের বিরুদ্ধে।