শুক্রবার শেষ বেলায় বাংলাদেশের ব্যাটারদের উপর রেগে যান কোহলি। ফাইল ছবি।
ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে নানা ছুতোয় সময় নষ্ট করছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। শেষ বেলায় উইকেট না হারানোই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। সে সময় তাঁদের ওই আচরণে রেগে যান বিরাট কোহলি। মাঠেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
শুক্রবার খেলার শেষ দিকে সময় নষ্ট করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জ়াকির হোসেন। আলো কমে এলে দিনের খেলা শেষ হয়ে যাবে এবং তাঁরা অপরাজিত অবস্থায় সাজঘরে ফিরতে পারবেন। শনিবার সকালে তরতাজা অবস্থায় নতুন করে শুরু করবেন। এমনই লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটারদের। তাঁরা কখনও ব্যাট পরিবর্তন করছিলেন, কখনও সাজঘর থেকে জল চেয়ে পাঠাচ্ছিলেন আবার কখনও জুতোর ফিতে খুলে নতুন করে বাঁধছিলেন। বার বার তাঁদের এমন আচরণ ক্রমশ বিরক্তি বাড়াচ্ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর আর নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি কোহলি। নাজমুল জুতোর ফিতে খুলে নতুন করে বাঁধতে শুরু করায় ক্ষুব্ধ হন কোহলি। নাজমুল তখন ছিলেন উইকেটের নন স্ট্রাইকার প্রান্তে। অন্য প্রান্তে থাকা জ়াকিরেকে জামা খোলার ভঙ্গি দেখিয়ে কোহলি বলেন, ‘‘তুমি তা হলে নিজের জামাটাই এ বার খুলে ফেলো।’’ তাঁর কথা ধরা পড়েছে স্টাম্প মাইক্রোফোনে।
নাজমুলদের উদ্দেশ্য অবশ্য সফল হয়েছিল শুক্রবার। তাঁর জুতো বাঁধা শেষ হওয়ার পরেই দিনের খেলা শেষ বলে ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার।
শুক্রবার শেষ কয়েক ওভার সময় নষ্ট করে কাটিয়ে দিলেও নাজমুল এবং জ়াকির বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল করতে পারলেন না। শনিবার নাজমুল কোনও রান না করেই আউট হয়ে যান অশ্বিনের বলে। প্রথম দু’ঘণ্টাতেই চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান শাকিব আল হাসানরা। জ়াকির অবশ্য উইকেটে এক দিক আগলে রাখার চেষ্টা করেন। তিনি অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
ব্যর্থ হন তিন নম্বরে নামা মোমিনুল হকও (৫)। তাঁকে আউট করেন মহম্মদ সিরাজ়। রান পাননি অধিনায়ক শাকিবও। জয়দেব উনাদকাটের বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৩ রান করে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমও ৯ রান করে আউট হন অক্ষর পটেলের বলে।