টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং বাংলাদেশ। ছবি: পিটিআই
বাংলাদেশে খেলতে যাবে ভারত। এক দিনের সিরিজ়ের সব ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ঢাকায়। কিন্তু অভিযোগ বাংলাদেশের বিরোধী দলের হুমকিতে একটি ম্যাচ ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালের পর প্রথম বার বাংলাদেশে খেলতে যাচ্ছে ভারত।
এক দিনের সিরিজ়ের সব ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ঢাকায়। ৪ ডিসেম্বর থেকে সেই সিরিজ় শুরু হওয়ার কথা। শেষ ম্যাচটি সরিয়ে দেওয়া হল চট্টগ্রামে। অভিযোগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পার্টি (বিএনপি) হুমকি দিয়েছে কয়েক হাজার সমর্থককে রাস্তায় নামিয়ে প্রতিবাদ করবে। বেশ কয়েক মাস ধরেই বিএনপি-র প্রতিবাদ চলছে বলেও অভিযোগ। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। ভারতের ম্যাচের সময়ও এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেই কারণেই ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা জালাল ইউনুস অবশ্য প্রতিবাদের কারণে ম্যাচ সরে যাওয়ার কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে একটি টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। আমাদের মনে হয় ওখানে একটি এক দিনের ম্যাচও হওয়া প্রয়োজন।” কিন্তু বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রতিবাদের কারণেই ম্যাচ সরিয়ে দিচ্ছে বোর্ড। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শুরু ১৪ ডিসেম্বর থেকে। দ্বিতীয় টেস্ট যদিও ঢাকাতেই। ২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সেই টেস্ট। যদিও প্রতিবাদের জন্য সরিয়ে দেওয়া হলে কেন শুধু একটি ম্যাচ সরানো হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। দু’টি এক দিনের ম্যাচ এবং একটি টেস্ট খেলা হবে ঢাকায়। সেই সময়ও প্রতিবাদ চলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউ জ়িল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলল ভারত। সেখানে যদিও খেলছেন না রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। এক দিনের সিরিজ়েও খেলবেন না তাঁরা। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এক দিনের সিরিজ়। সেই সিরিজ়ে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। বাংলাদেশ সফরে যদিও ফিরবেন রোহিত, বিরাটরা। এক দিনের সিরিজ় এবং টেস্ট ম্যাচগুলিতে খেলবেন তাঁরা।