(বাঁ দিকে) রোহিত শর্মা এবং গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
চেন্নাইয়ে শুক্রবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে ভারতীয় দল। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় অনুশীলন। চলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। গোটা দল উপস্থিত ছিল সেখানে। চেন্নাইয়েই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। সেখানে লাল মাটির পিচে খেলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চেন্নাইয়ে দু’ধরনের পিচ রয়েছে। একটি লাল মাটির, অন্যটি কালো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হতে পারে লাল মাটির পিচে। নেটে লাল মাটির পিচে ভারতীয় পেসারদের বল করতে দেখা গেল। বাংলাদেশের ক্রিকেটারেরা ঘরের মাঠে কালো মাটির পিচে খেলতে অভ্যস্ত। সেই পিচ মন্থর। ভারত তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন পিচ চাইছে, যেখানে লাল মাটির প্রাধান্য রয়েছে। পিচে ঘাসও থাকবে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে পিচ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, যাতে তা রোদে শুকিয়ে ফেটে না যায়। ২০১৯ সালে শেষ বার টেস্ট খেলতে ভারতে এসেছিল বাংলাদেশ। সে বার ইনদওর এবং কলকাতায় পেস সহায়ক পিচ বানানো হয়েছিল। ভারতীয় স্পিনারেরা সেই সিরিজ়ে মাত্র ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। এ বারেও ভারত সেই পরিকল্পনা করতে পারে। যদিও বাংলাদেশের পেস আক্রমণও যথেষ্ট শক্তিশালী।
১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু প্রথম টেস্ট। তার আগে অনুশীলন শুরু করেছে ভারতীয় দল। শুক্রবার পুরো দল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অনুশীলন করে। মাঝে ৪০ মিনিটের বিরতি ছিল। ভারতের আগামী চার মাসে ১০টি টেস্ট রয়েছে। ভারতের অনুশীলন বুঝিয়ে দিচ্ছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা শুধু বাংলাদেশ সিরিজ় নিয়ে ভাবছেন না, তাঁরা আগামী দিনের জন্যেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সঙ্গে দু’টি এবং নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি টেস্ট রয়েছে। তার পর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পাঁচটি টেস্ট খেলবে ভারত।
সাধারণত চিদাম্বরম বি স্টেডিয়ামটি অনুশীলনের জন্য ব্যবহার হয়। ভারত অনুশীলন করে মূল মাঠেই। শুরু হয় রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমন গিল এবং বিরাট কোহলির ব্যাটিং দিয়ে। তাঁরা দু’টি নেটে ব্যাট করেন। কালো মাটির পিচে বল করতে দেখা যায় স্পিনারদের। ব্যাটারদের স্পিনের বিরুদ্ধে কঠিন অনুশীলন করানোর জন্য এমনটা করানো হয়। কারণ, কালো মাটির পিচে বেশি সুবিধা পান স্পিনারেরা। পাশের পিচে বল করছিলেন যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজ। অনুশীলনের দ্বিতীয় ভাগে ব্যাট করেন লোকেশ রাহুল, ঋষভ পন্থ, ধ্রুব জুরেল এবং অক্ষর পটেল। বল করেন কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ এবং যশ দয়াল।
ভারতীয় দলে যোগ দিয়েছেন মর্নি মর্কেল। তিনি ভারতের বোলিং কোচ। বৃহস্পতিবার দলে যোগ দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘকায় পেসারকে দেখা যায় ভারতীয় পেসারদের সঙ্গে কাজ করতে। কখনও তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন ব্যাটারের পিছনে, কখনও আবার আম্পায়ারের জায়গায়। কোচ গৌতম গম্ভীর এবং বাকি সাপোর্ট স্টাফ শ্রীলঙ্কা সফরেই দলে যোগ দিয়েছিলেন। মর্কেল যোগ দিলেন বাংলাদেশ সিরিজ় থেকে।
বাংলাদেশ দলে স্পিন এবং পেসের ভারসাম্য রয়েছে। বাংলাদেশ শাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলামের মতো দু’জন বাঁ হাতি স্পিনার নিয়ে এসেছে। ভারত তাই রবীন্দ্র জাডেজা এবং অক্ষর পটেল দলে থাকলেও নেট বোলার হিসাবে তামিলনাড়ুর এস অজিত রাম, এম সিদ্ধার্থ এবং পি ভিগনেশকে নিয়ে এসেছে। তাঁরা সকলেই বাঁ হাতি স্পিনার। ভারতীয় দলে রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতীয় দল নেট বোলার হিসাবে নিয়েছে তামিলনাড়ুর লক্ষ্য জৈন এবং মুম্বইয়ের হিমাংশু সিংহকে। নেট বোলার হিসাবে অর্পিত গুলেরিয়া, গুরনুন ব্রার, যুধবীর সিংহ, বৈভব আরোরা, সিমারজিত সিংহ এবং গুরজাপনিত সিংহের মতো পেসারদের নেওয়া হয়েছে।