পাঁচ উইকেট নিলেন কুলদীপ। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় ভারত। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫০ রানে। আগের দিনের রানের সঙ্গে মাত্র ১৭ রান যোগ করল তারা। টেস্ট জীবনে তৃতীয় বার এক ইনিংসে পাঁচটি উইকেট পেলেন কুলদীপ যাদব। ফলো-অনের থেকে ৫৫ রান দূরে থেমে গেল বাংলাদেশের ইনিংস।
ফলো-অন করানোর সুযোগ থাকলেও ভারতের অধিনায়ক কেএল রাহুল তা কাজে লাগাননি। ফলে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ২০ রান তুলেছে তারা। এ দিন প্রথম উইকেট পড়ে এবাদত হোসেনের। বৃহস্পতিবার লড়াই দিলেও এ দিন সকালে কুলদীপ যাদবের বোলিংয়ে ঋষভ পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ১৭ রান করেন এবাদত। দ্বিতীয় উইকেট মেহেদি হাসান মিরাজের। তিনি ৮২ বলে ২৫ রান করে আউট হন। মেহেদিকে আউট করেন অক্ষর পটেল। সেটিই তাঁর বাংলাদেশ ইনিংসে একমাত্র উইকেট।
দ্বিতীয় দিনেই ব্যাট করতে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলেই আউট হন। মহম্মদ সিরাজের বলে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থের দেন শান্ত। রান পাননি তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলিও। ৪ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হন তিনি। শুরুতে সিরাজকে সামলাতে হিমসিম খেল বাংলাদেশ। লিটন দাস ২৪ করে বোল্ড হন তাঁর বলে। জাকির হাসানও ক্যাচ দেন উমেশের বলেই। ৫৬ রানে ৪ উইকেট চলে যায় বাংলাদেশের। এর পরেই শুরু হয় কুলদীপের ঘূর্ণি।
বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারই সে ভাবে কুলদীপকে খেলতে পারেননি। তাঁর কোন বল গুগলি হচ্ছে, কোনটি লেগ স্পিন, তা ধরতে পারলেন না শাকিবরা। বলের লাইন বার বার ভুল করলেন ব্যাটাররা। শাকিব, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম উইকেট দিয়ে গেলেন কুলদীপকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় দিনেই হয়তো সব উইকেট হারাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা রুখে দেন মেহেদি হাসান এবং ইবাদত। তাঁরা অপরাজিত থেকেই দিনের খেলা শেষ করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ২৭১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। শুক্রবার তাদের দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দিতে চাইবে ভারত। তবে চট্টগ্রামের ঘূর্ণি পিচে বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সুযোগ পেলেও তা লোকেশ রাহুলরা করাবেন কি না সেটা সন্দেহ। হয়তো শাকিবদের আবার ব্যাট করতে না পাঠিয়ে নিজেরাই নেমে রানের ব্যবধানটা বাড়িয়ে নিতে চাইবেন তাঁরা। বাংলাদেশ চেষ্টা করবে ভারতের রান টপকে যেতে।