পর পর দু’টি সিরিজ়ে হেরেছে ভারত। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ় হারের পরে প্রশ্নের মুখে দ্রাবিড়ের কোচিং। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে লাগাতার দু’টি সিরিজ়ে হারতে হয়েছে ভারতকে। প্রথমে নিউ জ়িল্যান্ড। পরে বাংলাদেশ। কেন বার বার ব্যর্থ হচ্ছে ভারতীয় দল, কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে, মুখ খুললেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
দ্রাবিড় হারের দায় চাপিয়েছেন চোট-আঘাত ও লাগাতার তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটের উপর। ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘চোট-আঘাতের ফলে আমরা পুরো দল পাইনি। বার বার দলে বদল করতে হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে। আশা করছি, জানুয়ারি থেকে দেশের মাটিতে সিরিজ় শুরু হওয়ার আগে দলের সবাইকে পেয়ে যাব। জানুয়ারি থেকে আমাদের ৯টি এক দিনের ম্যাচ খেলতে হবে। আশা করছি তার আগে পুরো দল থাকবে।’’
বার বার ফরম্যাট বদল হওয়ার প্রভাবও দলের খেলায় পড়েছে বলে মনে করেছেন দ্রাবিড়। তিনি বলেছেন, ‘‘এশিয়া কাপ ও টি-টিয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় গত দু’বছরে আমরা টি-টোয়েন্টির দিকেই বেশি নজর দিয়েছিলাম। পরের ৮-১০ মাস আমাদের এক দিনের ম্যাচের উপর বেশি নজর দিতে হবে। এ ভাবে বার বার ফরম্যাটে বদল হলে সমস্যা হয়।’’
দ্রাবিড় যাই বলুন না কেন, বিসিসিআই যে তাঁর কাজে খুশি নয় তা বোঝা যাচ্ছে। তাঁকে তলব করেছে বোর্ড। সঙ্গে ডাকা হয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মা, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকেও। বাংলাদেশ সিরিজ় শেষ হওয়ার পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে বিসিসিআই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হারের পরেও একটি বৈঠক ডেকেছিল বিসিসিআই। রোহিত-দ্রাবিড়দের সেখানেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু বোর্ডের কয়েক জন আধিকারিক ব্যস্ত থাকায় সে সময় বৈঠক হয়নি। তবে মিরপুরে বাংলাদেশের কাছে ভারতের পর পর দু’ম্যাচে হারের পরে দলের সঙ্গে কথা বলা জরুরি হয়ে পড়েছে। সামনের বছর ভারতে এক দিনের বিশ্বকাপ। তার আগে দলের এমন খেলায় আতঙ্কিত বোর্ড কর্তারা।
বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে যাওয়ার আগেই দলের কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তখন বোর্ডের কয়েক জন সদস্য ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় বৈঠক হয়নি। বাংলাদেশ থেকে ফিরলেই রোহিতদের সঙ্গে বসব আমরা। বাংলাদেশের কাছে যে দল এ ভাবে হারবে, সেটা আমরা ভাবতে পারিনি।’’