বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করেছেন ঈশান কিশন। অন্য দিকে শতরান এসেছে কোহলির ব্যাট থেকে। ছবি: বিসিসিআই
সিরিজ় আগেই হাতছাড়া হয়েছিল। তৃতীয় ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। তবে সেই ম্যাচে বিরাট জয় পেল ভারত। বাংলাদেশকে ২২৭ রানে হারালেন বিরাট কোহলিরা। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রান করে ভারত। ঈশান কিশন করেন ২১০ রান। কোহলি করেন ১১৩ রান। জবাবে ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করে দেন ১৮২ রানে। রানের বিচারে এটি এক দিনের ক্রিকেটে ভারতীয় তৃতীয় বড় জয়।
টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শিখর ধাওয়ান মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। সেখান থেকে ঈশান এবং বিরাট ভারতকে পৌঁছে দেন ৩০৫ রানে। ২৯০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ঈশান ১৩১ বলে ২১০ রান করেন। এক দিনের ক্রিকেটে এটাই দ্রুততম দ্বিশতরান। ঈশানের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানও এল এই ম্যাচে। শতরান করলেন বিরাটও। ৭২তম শতরান করে ফেললেন তিনি। সচিন তেন্ডুলকরের পরেই শতরানের তালিকায় বিরাট।
ঈশান এবং বিরাট বাদ দিলে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি ৩৭ রান করেন। অক্ষর পটেল করেন ২০ রান। শেষ দিকে রান করতে না পারায় ভারতের স্কোর ৪০৯ রানেই আটকে যায়। রোহিত শর্মার চোট থাকায় এ দিন তাঁর জায়গায় দলে আসেন ঈশান। নেতৃত্ব দিচ্ছেন লোকেশ রাহুল। যদিও টস ভাগ্যে তাতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। টানা তিনটি ম্যাচে টস হারে ভারত। রোহিতের জায়গায় ঈশান ছাড়া আরও একটি পরিবর্তন হয়েছে ভারতীয় দলে। দীপক চাহারের জায়গায় দলে এসেছেন কুলদীপ যাদব।
বাংলাদেশের কোনও বোলারই ঈশান এবং বিরাটের বিরুদ্ধে নজর কাড়তে পারেননি। মেহেদি হাসান মিরাজ শুরুতেই ধাওয়ানের উইকেট নিয়ে একটা সাময়িক আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু এর পরেই ঈশান এবং বিরাটের দাপটে সব বোলাররাই রান দিয়ে যান। সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন এ দিনের ম্যাচে খেলতে নামা তাসকিন আহমেদ। তিনি দু’টি উইকেট নিলেও ৯ ওভারে ৮৯ রান দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। আনামুল হক ৮ রান করে আউট হয়ে যান। অধিনায়ক লিটন করেন ২৯ রান। একমাত্র শাকিব ভাল ব্যাট করছিলেন। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার। শাকিব ৪৩ রান করে কুলদীপের বলে আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
ভারতীয় বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ল। শেষ পর্যন্ত ৩৪ ওভারে ১৮২ রান করে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে শার্দুল ঠাকুর ৩টি এবং অক্ষর পটেল ও উমরান মালিক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। সিরাজ, কুলদীপ ও ওয়াশিংটন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।