এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম শতরান মেহেদির। —ফাইল চিত্র
এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম শতরান করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাঁর দাপটে ভারতের বিরুদ্ধে ২৭১ রান তুলল বাংলাদেশ। এক সময় ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে গেলেন মেহেদি এবং মাহমুদুল্লাহ। মিরাপুরে শুরুতে মহম্মদ সিরাজরা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে চাপে ফেলে দিলেও সেটা ধরে রাখতে পারলেন না।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ফেলে দেন বাংলাদেশের ব্যাটারকে। মহম্মদ সিরাজ শুরুতেই ফিরিয়ে দেন অনামুল হককে। অন্য ওপেনার লিটন দাসকেও ফেরান তিনি। ৩৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার সাজঘরে। দু’টি উইকেটই নেন সিরাজ। এর পরেই উমরান মালিকের ধাক্কা। ১৫১ কিলোমিটার গতিতে করা বলে ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর স্টাম্প। রান পাননি শাকিব আল হাসানও। তাঁর উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে মেহেদি এবং মাহমুদুল্লাহ জুটিতে যোগ করেন ১৪৮ রান। প্রাক্তন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ৭৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শতরান করেন মেহেদি। এক দিনের ক্রিকেটে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে শতরান করেছিলেন তিনি। মেহেদি ৮৩ বলে শতরান করেন। নাসুম আহমেদ ১১ বলে ১৮ রান করেন।
তিনটি উইকেট নেন ওয়াশিংটন। দু’টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ এবং উমরান মালিক। বুধবার কুলদীপ যাদবের বদলে দলে নেওয়া হয়েছে উমরানকে। পিঠে চোট রয়েছে কুলদীপের। বাংলার শাহবাজ় আহমেদের বদলে এই ম্যাচে প্রথম একাদশে ফেরানো হয়েছে অক্ষর পটেলকে।
বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করছিলেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর বলে স্লিপে ক্যাচ দেন অনামুল হক। সেই ক্যাচ ধরতে গিয়েই বুড়ো আঙুলে চোট পান রোহিত। ক্যাচটিও ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাঠও ছাড়েন রোহিত। পরের বলেই যদিও এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন অনামুল। স্ক্যান করানোর জন্য নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়েছিল রোহিতকে। হাসপাতাল থেকে ফিরলেও তিনি ব্যাট করতে পারবেন কি না তা এখনও জানায়নি বোর্ড। রোহিতের আঙুলে ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে। ওপেন করতে নামেননি ভারত অধিনায়ক। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করলেন বিরাট কোহলি।
(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন।পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন।অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)