বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুলদীপ যাদব একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। —ফাইল চিত্র
চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে চাপে বাংলাদেশ। ১৩৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে তারা। কুলদীপ যাদব একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। ব্যাট হাতেও ৪০ রান করেন তিনি। প্রায় দু’বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে শুরুটা ভালই হল কুলদীপের। তাঁর বল বুঝতেই পারলেন না শাকিব আল হাসানরা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শতরানের কাছে এসেও সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। ৮৬ রান করে বোল্ড হন তিনি। শ্রেয়স আউট হলেও ভারতের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং কুলদীপ যাদব। চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪০৪ রানে। অশ্বিন এবং কুলদীপ ৯২ রানের জুটি গড়েন। অশ্বিন করেন ৫৮ রান। কুলদীপ করেন ৪০ রান। তাঁদের ব্যাটেই ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে ভারত। মধ্যাহ্নভোজের আগে একটি মাত্র উইকেট হারিয়েছিল তারা।
প্রথম দিনের শেষে অক্ষর পটেলকে তুলে নেওয়া মেহেদি হাসানও দ্বিতীয় দিনের শুরুতে উইকেট এনে দিতে পারেননি। দ্বিতীয় সেশনে যদিও বাংলাদেশের হয়ে উইকেট তোলেন তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি। দু’জনেই চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইবাদত এবং খালেদ আহমেদ।
ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম বলেই আউট হন। মহম্মদ সিরাজের বলে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থের দেন শান্ত। রান পাননি তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলিও। ৪ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হন তিনি। শুরুতে সিরাজকে সামলাতে হিমশিম খেল বাংলাদেশ। লিটন দাস ২৪ করে বোল্ড হন তাঁর বলে। জাকির হাসানও ক্যাচ দেন উমেশের বলেই। ৫৬ রানে ৪ উইকেট চলে যায় বাংলাদেশের। এর পরেই শুরু হয় কুলদীপের ঘূর্ণি।
বাংলাদেশের কোনও ব্যাটারই সে ভাবে কুলদীপকে খেলতে পারলেন না। তাঁর কোন বল গুগলি হচ্ছে, কোনটি লেগ স্পিন তা ধরতে পারলেন না শাকিবরা। বলের লাইন বার বার ভুল করলেন ব্যাটাররা। শাকিব, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম উইকেট দিয়ে গেলেন কুলদীপকে। একটা সময় মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় দিনেই হয়তো সব উইকেট হারাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা রুখে দেন মেহেদি হাসান এবং ইবাদত। তাঁরা অপরাজিত থেকেই দিনের খেলা শেষ করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ২৭১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। শুক্রবার তাদের দ্রুত সাজঘরে ফিরিয়ে দিতে চাইবে ভারত। তবে চট্টগ্রামের ঘূর্ণি পিচে বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সুযোগ পেলেও তা লোকেশ রাহুলরা করাবেন কি না সেটা সন্দেহ। হয়তো শাকিবদের আবার ব্যাট করতে না পাঠিয়ে নিজেরাই নেমে রানের ব্যবধানটা বাড়িয়ে নিতে চাইবেন তাঁরা। বাংলাদেশ চেষ্টা করবে ভারতের রান টপকে যেতে।