বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম এক দিনের ম্যাচে ব্যর্থ বিরাট, রোহিতরা। —ফাইল চিত্র
মাত্র ১৮৬ রান। ২০ ওভারের ক্রিকেটেও যে রান সহজেই তাড়া করে জিতে যাওয়া যায়, সেই রান করে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে জেতা যে সহজ হবে না তা বুঝতে পেরেছিলেন রোহিত শর্মা। ভারতের অধিনায়ক মেনে নিলেন যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলার চাপটাই নিতে পারেনি তাঁর দল। কোনও অজুহাতও দিলেন না।
ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “এই পিচে ব্যাট করা কঠিন। বল টার্ন করছিল। কিন্তু অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। এই ধরনের পিচে আমরা খেলে অভ্যস্ত। ৩০-৪০ রান কম হয়েছিল আমাদের। লোকেশ রাহুল এবং ওয়াশিংটন সুন্দর যখন ব্যাট করছিল, সেই সময় মনে হয়েছিল রান হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকি। পুরো ব্যাপারটাই হচ্ছে আমরা কতটা চাপ নিতে পারছি। সেটা করতে পারলেই আত্মবিশ্বাস আসে। আমাদের শিখতে হবে কী ভাবে চাপ সামলাবো। আশা করি পরের ম্যাচে পরিস্থিতি পাল্টাবে।”
১৮৬ রান করেও বোলারদের দাপট ম্যাচে ফিরে এসেছিল ভারত। জয়ের জন্য ৫১ রান বাকি থাকা অবস্থায় ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ উইকেটে লড়াই চালিয়ে যান মেহেদি হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। তাঁরা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। রোহিত বলেন, “জয়ের খুব কাছে এসে হারলাম। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর আমরা ম্যাচে ফিরে এসেছিলাম। চাপের মধ্যে খুব ভাল বোলিং করেছিলাম আমরা। শেষ পর্যন্ত ওদের চাপে রেখেছিলাম। কিন্তু ওরাও সেই চাপের মধ্যে খেলে গেল। আমাদের শেষ কয়েক ওভারের মধ্যে উইকেট তোলা উচিত ছিল। রানটাই কম হয়ে গিয়েছিল আমাদের।”
এক দিনের সিরিজ়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। বল হাতে শাকিব আল হাসান ৫ উইকেট নিয়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের রান করতে দেননি। লোকেশ রাহুল ৭৩ রান করলেও ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮৬ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ বেলায় ৩৯ রান করে ৩৮ রান করে দলকে জেতালেন।