আমদাবাদ টেস্টে ব্যক্তিগত নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে কোহলি এবং অশ্বিন। — ফাইল চিত্র
আমদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেছে ভারত। দলে রয়েছেন বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চতুর্থ টেস্টে ভারতের এই দুই ক্রিকেটারই নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে। কোহলির সামনে যে রকম ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তেমনই অশ্বিনের কাছেও সুযোগ রয়েছে উইকেট নিয়ে ভারতের এক প্রাক্তন ক্রিকেটারকে পেরিয়ে যাওয়ার।
গত তিনটি ম্যাচে খুব বেশি রান করতে পারেননি কোহলি। কিন্তু এই ম্যাচে আর ৪২ রান করলেই দেশের মাটিতে টেস্টে ৪০০০ রান করার নজির গড়বেন তিনি। ভারতের সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, সুনীল গাওস্কর এবং বীরেন্দ্র সহবাগের এই কৃতিত্ব রয়েছে। যদি কোহলি এই টেস্টেই ৪২ রান করতে পারেন, তা হলে তৃতীয় দ্রুততম ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এই নজির গ়ড়বেন। পেরিয়ে যাবেন দ্রাবিড় এবং গাওস্করকে। বাকিদের থেকে কোহলির গড় (৫৮) বেশ খানিকটা বেশি।
অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০০ উইকেট নিতে আর ১০টি শিকার চাই অশ্বিনের। ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার এখনও পর্যন্ত টেস্টে ৪৬৭টি উইকেট নিয়েছেন। একদিনের ক্রিকেটে ১৫১টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭২টি উইকেট রয়েছে তাঁর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, বাকি আর ৯টি উইকেট।
এ ছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া ভারতীয় বোলারদের তালিকায় এখন সবার উপরে রয়েছেন অনিল কুম্বলে। তাঁকে পেরিয়ে যেতে আর তিনটি উইকেট দরকার অশ্বিনের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১১টি উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে। এখনও পর্যন্ত অশ্বিনের দখলে ১০৯টি উইকেট।
আমদাবাদে টসের পরে রোহিত বলেন, ‘‘প্রথম তিন টেস্টে যে ধরনের উইকেট দেখেছিলাম, এটা সে রকম নয়। দেখে মনে হচ্ছে ভাল উইকেট। আশা করছি, পাঁচ দিন ধরে পিচ একই রকম থাকবে।’’ আমদাবাদের পিচের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথও।
আগের তিনটি টেস্টের উইকেট নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল। নাগপুর ও দিল্লির উইকেটকে ‘অ্যাভারেজ’ অর্থাৎ, সাধারণ মানের বলেছিল আইসিসি। ইনদওরের উইকেটকে ‘খারাপ’ বলেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে আমদাবাদের উইকেট কেমন হয় সে দিকেই নজর ছিল সবার।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেল, আমদাবাদের উইকেটে সবুজের আভা রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, সহজে পিচ ভাঙবে না। আগের তিন টেস্টে প্রথম ওভার থেকে বল ঘুরতে শুরু করেছিল। আমদাবাদে প্রথম সেশনে সেটা দেখা যায়নি। আগের তিন টেস্টের থেকে এই টেস্টে ব্যাট করা তুলনামূলক ভাবে সহজ বলে মনে হচ্ছে।