শতরানের পর শুভমনের উল্লাস। আমদাবাদের টেস্ট জীবনের দ্বিতীয় শতরান করলেন। ছবি: টুইটার
বাংলাদেশে গিয়ে টেস্ট জীবনের প্রথম শতরান করেছিলেন। তবু ভারতীয় দলের অদ্ভুত যুক্তির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের প্রথম দু’টি টেস্টে বসে থাকতে হয়েছিল। কেএল রাহুল দু’টি টেস্টেই ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর শিকে ছেঁড়ে। ইনদওরে তৃতীয় টেস্টে সে ভাবে রান না পেলেও আমদাবাদে স্বমহিমায় শুভমন গিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট জীবনের দ্বিতীয় শতরান করে ফেললেন তিনি। তার পরেই দুই ব্যাটারের অভিনন্দন পেয়ে গেলেন শুভমন। শতরানের সময় সঙ্গে ছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। তিনি এসে শুভমনকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান। তার পরে হাত মেলান। পুজারা আউট হওয়ার পর চা-বিরতিতে সাজঘরে ফেরার আগে বিরাট কোহলির অভিনন্দনও পান শুভমন। মাঝের সময়ে ধারাভাষ্যকার অজিত আগরকর বলছিলেন, “দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের তারিফ নিশ্চয়ই শুভমনকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।”
শুভমন যে এই টেস্টে বড় রান পেতে চলেছেন, সেটা বোঝা গিয়েছিল প্রথম দিনই। সমতল পিচে এগিয়ে এসে নেথান লায়নকে যে ভাবে ছয় মারলেন, তাতে অনেকেই মনে করেছিলেন শুভমনের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সেটাই দেখা গেল টেস্টের তৃতীয় দিন। অস্ট্রেলিয়ার কোনও বোলারকেই সে ভাবে খেলতে অসুবিধা হয়নি। খারাপ শট তাঁর ব্যাটে দেখাই যায় না। ফলে নব্বইয়ের গোড়ায় থাকলেও যে ভাবে ক্যামেরন গ্রিনকে একই ওভারে পর পর দু’টি চার মারলেন, তা প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। শতরানের থেকে কিছুটা দূরে থাকার সময় আরও এক বার এগিয়ে এসে লায়নকে একটি চার মারেন।
আমদাবাদের পিচে এমনিতেই বোলাররা সে ভাবে সাহায্য পাননি এখনও। সেই পিচে ঠান্ডা মাথায় চাপ সামলে রান করলেন শুভমন। মারার বল হলে মেরেছেন। ধরে খেলার বল সতর্কতার সঙ্গে রক্ষণ করেছেন। খুচরো রান নিয়ে সচল রেখেছেন স্কোরবোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যেতে হলে কাউকে একটা বড় রান করতেই হবে। শুভমন তার শুরুটা করে দিয়ে গেলেন।