অশ্বিন সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, এ বার হয়তো তাঁকে বল করা ছেড়ে দিতে হবে। — ফাইল চিত্র
সোমবার আমদাবাদে চতুর্থ টেস্টের শেষ দিনে চমকে দিয়েছেন রোহিত শর্মা। শেষ বেলায় হঠাৎ করেই বল তুলে দেন চেতেশ্বর পুজারার হাতে। পুজারাও মনের আনন্দে বল করার জন্য রান-আপ নিতে শুরু করে দেন। সতীর্থ ক্রিকেটারকে নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি তিনি। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, এ বার হয়তো তাঁকে বল করা ছেড়ে দিতে হবে।
আট বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দিল্লি টেস্টে শেষ বার বল করেছিলেন পুজারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেটিই তাঁর প্রথম এবং এক মাত্র ওভার। তার পরে কোনও দিন বল করার দরকার পড়েনি। আমদাবাদের নিষ্প্রাণ উইকেটে তিন স্পিনার বল করে করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার পর পুজারাকে ডাকেন রোহিত। এক ওভার হাত ঘুরিয়ে এক রান খেয়েছেন পুজারা।
তাঁর বল করার ভিডিয়োর স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করে অশ্বিন লিখেছেন, “তা হলে আমি এ বার কী করব? চাকরি ছেড়ে দেব?” চাকরি ছাড়া বলতে যে এখানে বল করা ছেড়ে দেওয়া কথা বলেছেন অশ্বিন, তা কারও বুঝতে বাকি নেই। এই বাক্যদ্বয় জনপ্রিয় একটি কমেডি শোয়ের প্রতিযোগীর, যা নিয়ে প্রচুর মিম তৈরি হয়েছে। পুজারাও এর উত্তর দিয়েছেন। লিখেছেন, “একদম না। আসলে নাগপুরে প্রথম উইকেট পড়ার তুমি নেমেছিলে বলে ধন্যবাদ।” আসলে সেই টেস্টে ভারত শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমেছিল। প্রথম উইকেট পড়ার পর পুজারা নামেন। কিন্তু শেষ বেলায় তিনি নামেননি। বদলে নৈশপ্রহরী হিসাবে অশ্বিনকে নামানো হয়েছিল। অশ্বিন খুব খারাপ খেলেননি। ২৩ রান করেন। পুজারা করেছিলেন সাত রান। পুজারার এই টুইটের পাল্টা দিয়ে অশ্বিন লিখেছেন, “এটা কী ধরনের ঋণ পরিশোধ হল ঠিক বুঝতে পারলাম না।”
যুগ্ম ভাবে সিরিজ় সেরা হয়েছেন অশ্বিন। পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে। তার পরে বলেছেন, “জাডেজার সঙ্গে বল করতে দারুণ লাগে। একে অপরের সান্নিধ্য ছাড়া পারব না। মাঠে অনেক বেশি সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠার সুযোগ করে দেয় জাডেজা। তাই অনেকটাই কৃতিত্ব ওর প্রাপ্য। দিল্লি টেস্টে ও দারুণ বল করেছে। তাই জন্যে আমরা সিরিজ়ে জিততে পেরেছি।”