ভারতীয় পেসাররা যে ভাবে ঘূর্ণি উইকেট থেকেও সুবিধা পাচ্ছেন, সেই সুবিধা পেতে চান স্টার্কও। ছবি: পিটিআই
প্রথম দুই টেস্টে খেলতে পারেননি। তৃতীয় টেস্টের আগে অনুশীলনে পুরোদমে অনুশীলন করেছেন। কিন্তু মিচেল স্টার্ক জানালেন, তিনি এখনও ১০০ শতাংশ ফিট নন। তবে ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ভারতের মতোই ইনদওরে পুরোদমে অনুশীলন করল অস্ট্রেলিয়া।
মায়ের অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরেছেন প্যাট কামিন্স। ফলে স্টার্কের উপরেই পড়েছে অস্ট্রেলিয়া পেস বিভাগ সামলানোর দায়িত্ব। সেই স্টার্ক বলেছেন, “আমি ভালই আছি। একটু অস্বস্তি থাকবেই। পুরোপুরি ১০০ শতাংশ ফিট হওয়া এর মধ্যে সম্ভব নয়। তবে বল করতে গিয়ে ভাল অনুভূতি হচ্ছে। এমন নয় যে এ বারই প্রথম কোনও টেস্ট ম্যাচে শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে খেলব। ১০০ শতাংশ ফিট হয়ে নামতে চাইলে এত দিনে হয়তো পাঁচ-ছ’টার বেশি টেস্ট খেলতে পারতাম না।”
ভারতীয় পেসাররা যে ভাবে ঘূর্ণি উইকেট থেকেও সুবিধা পাচ্ছেন, সেই সুবিধা পেতে চান স্টার্কও। বলেছেন, “এই সফর অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলারদের কাছে কঠিন হয়েছে। হ্যাঁ, উইকেটে ঘূর্ণি থাকবে আশা করছি। কিন্তু ভারতের ২০টি উইকেট নেওয়ার জন্যে স্পিনারদের যতটা সম্ভব সাহায্য করতে চাই। ভারতের পরিবেশ আলাদা ঠিকই। কিন্তু নিজের দক্ষতায় বিশ্বাস রাখলে সাফল্য পাওয়া কঠিন নয়।”
এ দিকে, দ্বিতীয় টেস্টের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে সুইপ শট খেলে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছিল তারা। এ বার ব্যাটারদের দেখা গেল সোজা ব্যাটে খেলতে। স্টিভ স্মিথ এবং উসমান খোয়াজা এক ঘণ্টার উপর ব্যাট করলেন। বোলার ছিলেন নেথান লায়ন এবং ম্যাট কুনেম্যান। লায়নের বলে বিপদে পড়লেও কুনেম্যানকে স্বচ্ছন্দে খেলে দেন এই দুই ব্যাটার। জোর দিয়েছেন রক্ষণেও। স্মিথ এবং খোয়াজা সাফল্য পেতে এতটাই মরিয়া ছিলেন যে অনুশীলনের পরেও আবার নেটে ব্যাটিং করেন। মার্নাস লাবুশেন, ট্রেভিস হেড এবং পিটার হ্যান্ডসকম্বকে দেখা যায় টড মারফি এবং মিচেল সোয়েপসনের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে।