কোহলি, রোহিতদের তীব্র গরম থেকে বাঁচাতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফাইল ছবি।
দুপুরে আমদাবাদের তাপমাত্রা থাকছে ৩৪ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এত গরমের মধ্যে প্রায় দু’দিন ধরে ফিল্ডিং করতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখতে তাই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলপানের বিরতিতে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের দেওয়া হচ্ছে তরমুজ।
আমদাবাদের গরমে ক্রিকেটারদের প্রচুর ঘাম হচ্ছে। সারা দিন চড়া রোদে ফিল্ডিং করার জন্য শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে প্রচুর জল। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে পেশিতে টান ধরার সম্ভাবনা থাকে। ক্রিকেটারদের শরীরে জলের পরিমাণ বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে। শুক্রবার জল পানের বিরতিতে দেখা যায় জল, শক্তিবর্ধক পানীয় ছাড়াও ক্রিকেটারদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তরমুজ। মহম্মদ সিরাজ সতীর্থদের জন্য প্রচুর কাটা তরমুজ নিয়ে আসেন মাঠে।
কেন ক্রিকেটারদের তরমুজ খাওয়ানো হচ্ছে? ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত এক জন বলেছেন, ‘‘শুষ্ক গরমে শরীরে জলের পরিমাণ বজায় রাখার জন্য তাজা ফল খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুরের পর তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি থাকছে। এই পরিস্থিতিতে শরীরের ‘পিএইচ’-এর মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। এই রকম গরমে রসালো ফল শরীরে জলের পরিমাণ যেমন বজায় রাখতে সাহায্য করে তেমনই শক্তি বৃদ্ধি করে।’’
খেলার মধ্যে ক্রিকেটারদের ফল খাওয়া নতুন কিছু নয়। জোরে বোলাররা অনেক সময় কলা খান খেলার মাঝে। কারণ তাঁরা বেশি খাওয়াদাওয়া করলে বল করতে পারেন না। টানা পাঁচ বা ছয় ওভার বল করলেই অনেক ক্যালোরি খরচ হয় তাঁদের। ঘামও হয় প্রচুর। তাই তাঁরা খেলা চলাকালীন কলা বা এনার্জি বার খেয়ে থাকেন।
ক্রিকেটাররা কী ফল খাবেন তা নির্ভর করে কোথায় এবং কেমন আবহাওয়ায় খেলা হচ্ছে তার উপর। সেই শহরে যে সব ফল সহজে পাওয়া যায়, সেগুলির মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয়। তবে প্রায় সব জায়গাতেই কলা পাওয়া যায়। তাই ক্রিকেটারদের খাদ্যতালিকায় রাখা হয় কলা এবং বিভিন্ন মরসুমি ফল।