আমদাবাদে ২০০ রান হল না বিরাট কোহলির। ছবি: পিটিআই
প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু ২০০ রান থেকে ১৪ রান আগে থেমে যেতে হল বিরাট কোহলিকে। উল্টো দিকে একের পর এক সতীর্থকে হারিয়ে চালিয়ে খেলতে বাধ্য হলেন বিরাট। তাতেই বিপত্তি। ধীরে সুস্থে ইনিংস গড়ছিলেন বিরাট। কিন্তু ২০০ করার তাড়াহুড়োতে নিজের ভুলেই উইকেট দিয়ে এলেন। ভারতের ইনিংস শেষ হল হল ৫৭১ রানে। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩ রান তুলেছে।
গোটা দিনটা ছিল বিরাটের। সকাল থেকে দিনের প্রায় শেষ পর্যন্ত খেললেন তিনি। শতরান করলেন। ১২০৫ দিন পর টেস্টে শতরান। বিরাট নিজেও লাল বলে শতরান করার অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁর ইনিংস দেখলেই সেটা বোঝা যায়। শতরান করা পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি চার মেরেছিলেন বিরাট। ৮০ রান নিয়েছিলেন দৌড়ে। কিন্তু তাঁর ১৮৬ রানের ইনিংসে রয়েছে ১৫টি চার। অর্থাৎ পরের ৮৬ রানের মধ্যে ১০টি চার মেরেছেন। ৪৬ রান দৌড়ে নিয়েছেন। সেই সময় দলেরও প্রয়োজন ছিল দ্রুত রান তোলার। সেটাই করছিলেন বিরাট। কিন্তু উল্টো দিক থেকে একে একে সকলে ফিরে যেতে থাকেন। তাতেই চাপ বাড়ে বিরাটের। তাড়াহুড়ো করেন ২০০ করার জন্য। সেই সময় টড মারফির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে দেন মার্নাস লাবুশানের হাতে।
আমদাবাদ টেস্টের পিচ ব্যাটারদের সাহায্য করছে। এই ম্যাচে শুরু থেকে বল ঘুরছে না। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা রান পেয়েছেন। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে শুভমন গিল শতরান করেছেন। সেই সব কিছুর পরও ম্যাচের অন্যতম মুহূর্ত হয়ে রইল বিরাটের শতরান। ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টের (২৩ নভেম্বর, ২০১৯) পর লাল বলের টেস্টে শতরান আসছিল না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের। এল আমদাবাদে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে শতরান ভারতকে ভরসা দিল। শুভমন আউট হওয়ার সময়ও ভারত ২৩৫ রানে পিছিয়ে ছিল। কোনও ব্যাটারকে বড় রানের ইনিংস খেলতে হত। সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন বিরাট। ১০৮তম টেস্ট খেলতে নামা বিরাট জানেন ইনিংসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে। সেই অভিজ্ঞতার ছাপ দেখা গেল বিরাটের গোটা ইনিংসে।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভারত এগিয়ে ৮৮ রানে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রান করেছিল। জবাবে ৫৭১ রান ভারতের। শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট দ্রুত তুলে জয়ের রাস্তা ভারত তৈরি করতে পারে কি না সেই দিকে নজর থাকবে সমর্থকদের।
সিরিজ়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত। প্রথম দু’টি টেস্ট জিতে নিয়েছিল ভারত। ইনদওরে তৃতীয় টেস্টে হারতে হয় তাদের। সেই তিনটি টেস্টেই খেলা হয়েছিল স্পিনার সহায়ক পিচে। আমদাবাদের পিচে ব্যাটারদের জন্য অনেক সুবিধা ছিল। যা কাজে লাগিয়ে দুই দলের চার ব্যাটার শতরান করলেন।