প্রথম ওভারেই দু’বার আউট হয়ে যেতেন রোহিত শর্মা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ভুলে বেঁচে গেলেন তিনি। —ফাইল চিত্র
প্রথমে ওভারেই দু’বার আউট হয়ে যেতে পারতেন রোহিত শর্মা। দু’বারই আউট দেননি আম্পায়ার। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত রোহিতের বিরুদ্ধে যেত। কিন্তু রিভিউ নিলেন না অস্ট্রেলিয়ার পরিবর্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ফলে বেঁচে গেলেন রোহিত।
মিচেল স্টার্কের প্রথম বল রোহিতের ব্যাট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। হাল্কা শব্দও হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা আউটের আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার নীতিন মেনন আউট দেননি। প্রথমে রিভিউ নেওয়ার কথা ভাবলেও তার পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন স্মিথ। পরে রিপ্লে-তে দেখা যায়, বল রোহিতের ব্যাটে লেগেছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মাথায় হাত দিতে দেখা যায়।
সেখানেই ঘটনা শেষ হয়নি। সেই ওভারের চতুর্থ বল পিচে পড়ে ভিতরের দিকে ঢুকে আসে। বল রোহিতের ব্যাট ও প্যাডের মাঝখান দিয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে যায়। সেই বলেও আউটের আবেদন করেছিল অস্ট্রেলিয়া। মেনন এ বারও আউট দেননি। রিভিউ নেননি স্মিথ। পরে দেখা যায়, এলবিডব্লিউ ছিলেন রোহিত।
দু’বার বাঁচলেও তা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি রোহিত। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল, খেলতে সমস্যা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১২ রান করে কুনেম্যানের বলে ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প আউট হন তিনি।
তবে স্মিথের দু’বার রিভিউ না নেওয়া মনে করিয়ে দিল ২০১৭ সালের বেঙ্গালুরু টেস্টের কথা। তখন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ভারত অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। এলবিডব্লিউ হওয়ার পরে সাজঘরের দিকে তাকিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন রিভিউ নেবেন কি না। আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন বিরাট। আম্পায়ারও স্মিথকে নিষেধ করেন। সেই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। আরও এক বার রিভিউ নেওয়া নিয়ে কাজ করল না স্মিথের মস্তিষ্ক।