বিরাট কোহলি প্রলোভন দেখিয়েছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। কিন্তু প্রলোভনে পা দেননি দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র
দিল্লি টেস্টে প্রথম ইনিংসে আউট হওয়ার পরে সাজঘরে ফিরে খাবার খেতে দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলিকে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও খাবার দেখে হাসি ফুটেছিল কোহলির মুখে। জানা গিয়েছিল, পছন্দের ছোলে ভাটুরে দেখেই মন ভাল হয়েছে কোহলির। কিন্তু গোপন কথা ফাঁস করলেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। সেই সময় কোহলির পাশেই বসেছিলেন তিনি। তাঁকে নাকি প্রলোভনও দেখিয়েছিলেন কোহলি।
দ্রাবিড় বলেছেন, ‘‘ওটা ছোলে ভাটুরে ছিল না, কুলচা ছোলে ছিল। কোহলি আমাকেও খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু আমি তাতে পা দিইনি। কারণ, আমার ৫০ বছর বয়স হয়েছে। এই বয়সে ওই সব খাবার খাওয়া ঠিক নয়।’’
আউট হওয়ার পরে সাজঘরে ফিরেও রাগ দেখাচ্ছিলেন কোহলি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে প্রিয় খাবার তৈরি শুনেই মেজাজ বদলে যায় তাঁর। হাততালি দিয়ে ওঠেন। মুখে হাসি দেখা যায় তাঁর। টেবিলে খাবার রেখে দিতে অনুরোধ করেন। প্রিয় খাবার পাওয়ার পর কোহলির প্রতিক্রিয়া দেখে হেসে ফেলেন দ্রাবিড়ও। যদিও সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা থামিয়ে উঠে যাননি কোহলি। কোচের সঙ্গে কথা শেষ করার পরই খেতে যান তিনি।
ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ক্রিকেটপ্রেমীরা নানা মন্তব্য করেছেন। একটি খাবার সরবরাহকারী সংস্থাও নিজেদের প্রচারের জন্য লুফে নিয়েছে ছোলে ভাটুরের প্রতি কোহলির এই ভালবাসাকে। তারা সমাজমাধ্যমে লিখেছে, ‘‘যখন আপনার অর্ডার করা ছোলে ভাটুরে পৌঁছায়।’’ উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ছোলে ভাটুরে। কোহলির প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে এই পদ। কিন্তু দ্রাবিড় জানালেন ছোলে ভাটুরে নয়, কুলচা ছোলে খেয়েছিলেন কোহলি।
শনিবার বিতর্কিত এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার পর মেজাজ ভাল ছিল না কোহলির। সাজঘরে ফিরে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে ফিল্ডিং করতে নেমেও তাঁকে আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় ম্যাচের দুই আম্পায়ারের সঙ্গে। দিল্লিতে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের মাথায় ম্যাথু কুনেম্যানের বলে এলবিডব্লু আউট হন কোহলি। রিভিউ নেন তিনি। রিভিউতে স্পষ্ট হয়নি তিনি আউট ছিলেন কি না। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ায় সেই সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি তিনি।