অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু বল করতে নাকি আর ভাল লাগে না তাঁর। ছবি: পিটিআই
এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার তিনি। নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন। গোটা ম্যাচে ৮ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু অশ্বিনের নাকি আর বল করতেই ভাল লাগে না। তিনি ছটফট করেন ব্যাট করার জন্য। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে উঠে এমনটাই বললেন ভারতীয় স্পিনার।
ভারতীয় ইনিংসে নৈশপ্রহরী হিসাবে পাঠানো হয়েছিল অশ্বিনকে। ভালই খেলেছেন তিনি। যে পিচে অনেক ব্যাটার সমস্যায় পড়েছেন সেখানে ২৩ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অশ্বিনকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমি ব্যাট করার ফাঁক খুঁজি। সাজঘরে বসে ছটফট করি। এখন আর বেশি চাপ নিতে পারি না। মনে হয় মাঠে নেমে ব্যাট করব। কিন্তু বেশি সুযোগ তো পাই না। কোহলি, পুজারাদের দিকে তাকিয়ে থাকি। ওরা যদি বলে নামবে না, তা হলে আমি ছুটে যাই।’’
নাগপুরেও তেমনই কিছু ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘‘দিনের খেলা শেষ হতে তখন ২০ মিনিট বাকি ছিল। পুজারা বলল, উইকেট পড়লে ও নামবে না। আমি সঙ্গে সঙ্গে প্যাড, গ্লাভস পরে তৈরি ছিলাম। আসলে সারা জীবনে অনেক বল করেছি। ব্যাট করার সুযোগ বেশি পাইনি। তাই এখন ব্যাট করার সুযোগ খুঁজি।’’
তিনি নিজে দু’ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিলেও ম্যাচে জয়ের শ্রেয় ব্যাটারদের দিয়েছেন অশ্বিন। জানিয়েছেন, ব্যাটাররা রান না করলে এতটা চাপে অস্ট্রেলিয়া পড়ত না। অশ্বিন বলেছেন, ‘‘এই জয়ে ব্যাটারদের বড় ভূমিকা আছে। ওরা ২২৩ রানের লিড দিয়েছিল বলেই শুরু থেকে চাপে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ওদের চাপ কাজে লাগিয়েছি আমরা। জাডেজার সঙ্গে বল করতে খুব ভাল লাগে। আমাদের একটা বোঝাপড়া আছে। সেটা এই ম্যাচেও কাজে লেগেছে।’’
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের পরামর্শ দিয়েছেন অশ্বিন। পরের টেস্টে স্টিভ স্মিথদের আরও ভাল ভাবে তৈরি হতে বলেছেন তিনি। অশ্বিনের কথায়, ‘‘এটাই হয়তো অস্ট্রেলিয়ার পরিকল্পনা ছিল। ওরা পরিস্থিতি বুঝতেই পারেনি। আশা করি পরের বার আর এই ভুল ওরা করবে না। আরও ভাল ভাবে তৈরি হবে। অস্ট্রেলিয়া বড় দল। আশা করছি, পরের টেস্টে ওরা ভাল লড়াই দেবে।’’
নাগপুরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে ভারত। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লিতে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। এই সিরিজ়ের উপরেই নির্ভর করছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোন দুই দল খেলবে। তাই দু’দলের কাছেই এই সিরিজ় খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ফিরতে পারে কি না।