অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা ইয়ান চ্যাপেল। ছবি: টুইটার।
নাগপুরের উইকেট নিয়ে আগে থেকেই হইচই করায় অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করলেন সে দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল। তাঁর বক্তব্য, এটাই অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের স্বভাব। এ ভাবেই দলকে সব সময় চাপে ফেলে দেয় তারা।
নাগপুর টেস্ট শেষ হওয়ার পর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর শনিবার সমালোচনা করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের। এ বার মুখ খুলেছেন চ্যাপেলও। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেট নিয়ে সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এই বাজে খেলাটা উপেক্ষা করা উচিত ক্রিকেটারদের। সফরকারী দলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এই ধরনের বিষয়। আয়োজক দেশ সুবিধা মতো উইকেটের চরিত্র বদল করেছে বলে হইচই করার মানে হয় না। মনে রাখা উচিত দু’দলকে একই উইকেটে খেলতে হয়।’’ গাওস্করও উইকেট নিয়ে স্টিভ স্মিথদের উপর অযথা চাপ তৈরি করার জন্য দোষারোপ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে।
বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের প্রথম টেস্টে প্যাট কামিন্সদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলেই মত চ্যাপেলের। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘স্পিন সহায়ক উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। এটা যাতে ওদের মানসিক ভাবে দুর্বল করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমন নয় যে ভারতের মাটিতে ওদের মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা নেই। তবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া জরুরি। মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের লড়াইয়েও থাকতে পারবে। এখনই সতর্ক না হলে আরও বড় সমস্যায় পড়তে হবে প্যাট কামিন্সদের।’’
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও চ্যাপেলের চোখে কোনও ভুল ধরা পড়েনি। চ্যাপেল বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টে সাহসী প্রথম একাদশ বেছে নিয়েছিল। দলে ভাল ভারসাম্য ছিল। স্পিনারদের বিরুদ্ধে দুর্বলতা থাকলেও ট্যাভিস হেডকে দলে রাখতে পারত ওরা। মাত্র সাতটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা টড মারফিকে খেলানো ভাল সিদ্ধান্ত। দল মারফির দক্ষতার উপর আস্থা রেখে ভুল করেনি।’’
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় টেস্টের আগে স্পিন বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন করছে অস্ট্রেলিয়া। সন্তানের জন্মের সময় বাগ্দত্তার পাশে থাকতে ব্রিসবেন ফিরে যাচ্ছেন মিচেল সোয়েপসন। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে ভারতে উড়ে আসছেন সোয়েপসনের কুইন্সল্যান্ড দলের সতীর্থ বাঁহাতি স্পিনার ম্যাট কুনেম্যানকে টেস্ট দলে ডাকা হয়েছে। দিল্লি টেস্টের আগেই তিনি যোগ দেবেন কামিন্সদের সঙ্গে।