অর্ধশতরান করলেন রবীন্দ্র জাডেজা। —ফাইল চিত্র
প্রথম দিনের শেষে ৫ উইকেট নেওয়ার জন্য শিরোনামে এসেছিল রবীন্দ্র জাডেজার নাম। দ্বিতীয় দিনেও তিনিই থাকবেন শিরোনামে। দিনের শেষে ৬৬ রান করে অপরাজিত জাডেজা। তাঁর সঙ্গী অক্ষর পটেল। তিনি করেছেন ৫২ রান। রোহিত শর্মা ১২০ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর ভারতকে বড় রানের লিড দেওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অক্ষর, জাডেজাই।
পিচ নিয়ে প্রথম থেকেই ভয় পাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। বার বার নাগপুরের পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন তাঁরা। টসের সময়ে রোহিতও বলেন যে পিচ শুকনো, বল ঘুরতে পারে। সেই কারণেই দলে তিন পেসার নিয়ে খেলছে ভারত। অস্ট্রেলিয়া শেষ হয়ে যায় ১৭৭ রানে। জাডেজা নেন ৫ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ৩ উইকেট। স্পিনারদের দাপটেই ৮ উইকেট চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার। শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি এবং মহম্মদ সিরাজ। তাঁদের দাপটে ২ রানে ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
যে পিচে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে পারল না, সেই পিচেই ৩০০-র উপর রান তুলে ফেলল ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩২১ রান তুলেছে ভারত। এর মধ্যে ১২০ রান রোহিতের। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর নবম শতরান। দেড় বছর পর লাল বলে শতরান করলেন ভারত অধিনায়ক। দেশের প্রথম অধিনায়ক হিসাবে সব ধরনের ক্রিকেটে শতরান করলেন রোহিত। বৃহস্পতিবার ওপেন করতে নেমে লোকেশ রাহুল ২০ রানে আউট হয়ে যান। রাতপ্রহরী রবিচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও অনেক ক্ষণ ক্রিজে রইলেন। ২৩ রান করেন তিনি। অশ্বিন ফেরার পর মনে করা হয়েছিল রোহিতের সঙ্গে বড় জুটি বাঁধবেন চেতেশ্বর পুজারা (৭)। কিন্তু তিনি যে ভাবে আউট হলেন তা পুজারাচিত নয়। স্পিন বলের বিরুদ্ধে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনি।
পুজারা ব্যর্থ হওয়ার পর বিরাটের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা টড মারফির বল বিরাটের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। ১২ রান করে আউট বিরাট। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূর্যকুমার যাদব মাত্র ৮ রান করে বোল্ড। দ্বিতীয় বলে চার মেরেছিলেন সূর্য, কিন্তু বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারলেন না তিনি। তরুণ উইকেটরক্ষক শ্রীকর ভরত ৮ রান করে আউট। ২৪০ রানে ৭ উইকেট চলে যায় ভারতের। মনে করা হচ্ছিল খুব বেশি লিড হয়তো নিতে পারবে না তারা। কিন্তু জাডেজা এবং অক্ষর ৮১ রানের জুটি গড়ে ফেলেন।
দ্বিতীয় দিনের শেষে জাডেজা অপরাজিত ৬৬ রানে, অক্ষর অপরাজিত ৫২ রানে। ভারত এগিয়ে ১৪৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মারফি অভিষেক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন।