মারমুখী মেজাজে শুভমন। ফাইল চিত্র
প্রথম দু’ম্যাচে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। বোলারদের দাপটে সেই দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে নিয়েছে ভারত। তাই নিয়মরক্ষার ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। নজর কাড়লেন শুভমন গিল। এক দিনের কেরিয়ারে নিজের প্রথম শতরান করলেন ভারতের এই তরুণ ওপেনার। অর্ধশতরান এল ঈশান কিশনের ব্যাট থেকে। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান করল ভারত। জিম্বাবোয়ের সামনে লক্ষ্য ২৯০ রান।
দ্বিতীয় ম্যাচে রান পাননি রাহুল। ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, আশা করছেন তৃতীয় ম্যাচে পাবেন। ওপেনে শিখর ধবনের সঙ্গে নামলেন রাহুল। ধরে খেললেন ভারত অধিনায়ক। ফলে প্রথম ১০ ওভারে রানের গতি কম ছিল। ধবনও খুব একটা আক্রমণাত্মক খেলেননি। দুই ওপেনারের মধ্যে ১৫ ওভারে ৬৩ রানের জুটি হয়। ৩০ রানের মাথায় ব্র্যাড ইভান্সের বলে বোল্ড হন রাহুল। এশিয়া কাপের আগে বড় রান এল না তাঁর ব্যাট থেকে। ধবন ৪০ রানের মাথায় ইভান্সের বলেই সাজঘরে ফেরেন।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন শুভমন ও ঈশান। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তাঁরা। ফলে রান তোলার গতি বাড়ে। শুভমনকে বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল। প্রথমে তিনি অর্ধশতরান করেন। ঝুঁকি না নিয়ে খেলছিলেন তিনি। মাঠের সব দিকে রান আসছিল। শুভমন ও ঈশান ১৪০ রান যোগ করেন। ৫০ রান করে রানআউট হন ঈশান। কিন্তু শুভমন কোনও ভুল করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। এই ম্যাচে ৮২ বলে এক দিনের কেরিয়ারের প্রথম শতরান করলেন তিনি।
ঈশান আউট হওয়ার পরে ফিরে যান দীপক হুডা। সঞ্জু স্যামসন নেমে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন। দু’টি বিশাল ছয় মারার পরে তিন নম্বর ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। শতরানের পরে আরও বেশি হাত খুলে খেলতে শুরু করেন শুভমন। একের পর এক বড় শট মারছিলেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন শুভমন। ৯৭ বলে ১৩০ রান করেন তিনি। জিম্বাবোয়ের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন ইভান্স।