আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবার সফল কেকেআরের রিঙ্কু। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের পর বিদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে গেল। দ্রুত গতির উইকেটে শর্ট বলের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের দুর্বলতা দেখিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলারেরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ১৯.৩ ওভারে করেছে ৭ উইকেটে ১৮০ রান। এর পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে। অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিংহ। এর পর ভারত আর ব্যাট করতে নামেনি।
৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও ভারতকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং রিঙ্কু সিংহের ব্যাট। বিশেষ করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটার আরও এক বার ঠান্ডা মাথায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় রিঙ্কু অপরাজিত আছেন ৩৯ বলে ৬৮ রান করে। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি চার এবং ২টি ছয়।
টস জিতে মেঘলা আবহাওয়ায় ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে ডাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তার প্রমাণ যশস্বী জয়সওয়াল এবং শুভমন গিলের উইকেট। ভারতের দুই ওপেনারই সাজঘরে ফিরলেন কোনও রান না করে। যশস্বীকে আউট করলেন মার্কো জানসেন। আর শুভমন উইকেট দিলেন লিজ়াড উইলিয়ামসকে। ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই চাপ আরও বৃদ্ধি পায় তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মাও দ্রুত আউট হওয়ায়। ৪টি চার এবং ১টি ছয়ের মাধ্যমে তিলক করলেন ২০ বলে ২৯ রান। ভারতকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল সূর্যকুমার এবং রিঙ্কুর ব্যাট। বিশ্বকাপে রান না পাওয়া সূর্যকুমার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরেই আবার চেনা ফর্মে। মঙ্গলবার তিনি করলেন ৩৬ বলে ৫৬ রান। মারলেন ৫টি চার এবং ৩টি ছয়। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সময় উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে ছিলেন কলকাতার রিঙ্কু। তবে অধিনায়ক জেরাল্ড কোয়েৎজের বলে আউট হওয়ার পর চলিয়ে খেললেন রিঙ্কুও। সূর্যকুমার এবং রিঙ্কু চতুর্থ উইকেটের জুটিতে যোগ করলেন ৭০ রান। যা চাপ কাটিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফেরায়। রান পেলেন না তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জীতেশ শর্মাও (১)। শেষ দিকে রিঙ্কুকে ২২ গজে কিছুটা সঙ্গ দিলেন অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি করলেন ১৪ বলে ১৯ রান। ১টি করে চার এবং ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার কোয়েৎজে। খেলা বন্ধ হওয়ার সময় তিনি পর পর দু’বলে জাডেজা এবং আরশদীপ সিংহকে আউট করে হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে। ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮ রানে ১ উইকেট তাবরেজ় শামসির। জানসেন ৩৯ রানে ১ উইকেট, উইলিয়ামস ৩২ রানে ১ উইকেট এবং মার্করাম ২৯ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন।