ব্যাট করছেন রিঙ্কু। ছবি: পিটিআই।
সাধারণত শেষ দিকে নেমে ঝড় তোলাই তাঁর কাজ। তবে শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চাপের মুখে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রিঙ্কু সিংহ। সেখানেও তাঁর ব্যাট থেকে অনবদ্য ইনিংস দেখা গেল। অল্পের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া হল ঠিকই। কিন্তু তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই আগে ব্যাট করে ভদ্রস্থ রান তুলল ভারত। আগে ব্যাট করে ১৭৪-৯ তুলল তারা।
টসে জিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। দলে চারটি বদল আনেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরেন মুকেশ কুমার। শ্রেয়সের এই ম্যাচ থেকেই খেলার কথা ছিল। তিনি আসেন তিলক বর্মার জায়গায়। আরশদীপ সিংহের জায়গায় আসেন দীপক চাহার। জিতেশ শর্মা আসেন ঈশান কিশনের জায়গায়। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক হল ক্রিস গ্রিনের। তাঁরা পাঁচটি বদল করে। মার্কাস স্টোইনিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জস ইংলিস, ঝে রিচার্ডসন এবং নাথান এলিস খেলেননি।
শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। অ্যারন হার্ডির প্রথম ওভারে মেডেন হয়। শেষ বলে যশস্বীর আউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু ডিআরএসে বেঁচে যান তিনি। লেগ বাইয়ে এক রান হয়। পরের ওভারে জেসন বেহরেনডর্ফকে দু’টি চার মেরে ১১ রান নেন যশস্বী। তার পরের ওভারে নবাগত বেন ডোয়ারশুইসকে তিনটি চার মারেন। ষষ্ঠ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ভারতের ৫০ হয়ে যায়। এর পরেই হার্ডির বলে ফিরে যান যশস্বী। ২৮ বলে ৩৭ করেন ভারতের ওপেনার।
তিনে নামেন শ্রেয়স। কিন্তু জাতীয় দলের প্রত্যাবর্তনটা ভাল হল না। অষ্টম ওভারেই তনবীর সাঙ্ঘার বলে গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অষ্টম ওভারে সূর্যকে তুলে নেন বেন। ১ রানেই আউট ভারতের অধিনায়ক। পর পর তিনটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল ভারত। সেই চাপ কাটিয়ে দেন রিঙ্কু। সঙ্গী হন রুতুরাজ। দু’জনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ৪৮ রান তুলে দেন। এর পর সাঙ্ঘা ফেরান রুতুরাজকে (৩২)। নবাগত জিতেশ যোগ দেন রিঙ্কুর সঙ্গে।
তবে ভারতের রানের গতি এতটাই কম ছিল যে বড় রান উঠবে কি না, সেটা বোঝা যাচ্ছিল না। চাপ কাটিয়ে দেন রিঙ্কু এবং জিতেশ। সাধারণত ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাট করতে আসেন রিঙ্কু। কিন্তু চাপের মুখে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ব্যাট করলেন কেকেআরের ক্রিকেটার। তিনি এবং জিতেশ পঞ্চম উইকেটে পঞ্চাশের উপরে রান তোলেন। ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান জিতেশ। সেই ওভারেই ভারত হারায় অক্ষর পটেলের উইকেটও। পরের ওভারে ফিরে যান দীপক চাহার এবং রবি বিষ্ণোইও। শেষ দু’ওভারে খুব বেশি রান তুলতে পারল না ভারত।